ইলিশ মাছ
ভরা মৌসুমেও বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে ছিল ইলিশের দাম। এই নিয়ে ক্ষোভ ছিল ভোক্তা সাধারণের। দেশে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় নেই, তবুও কেনো সিন্ডিকেটের বেড়াজালে এখনও বন্দি বাজার ব্যবস্থাপনায়। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল ফরিদপুরের প্রশাসনকে সাধারণ ক্রেতারা।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর শহরের হাজী শরীয়তুল্লাহ ইলিশের বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বাজারে ভোক্তা অধিদফতর ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে প্রকার ভেদে ইলিশ কেজিতে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমে যায়।
অভিযান পরিচালনার সময় খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, ইলিশ মাছ আড়তদাররা ৪২ থেকে ৪৩ কেজিতে মণ হিসেবে ক্রয় করলেও খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে ৪০ কেজিতে মণ, যা দেশের কোন মাছ বাজারে এই ব্যবস্থা নাই। এ সকল বিষয়ের প্রতিবাদ করলে আড়তদার মাছ দেয়া বন্ধ করে দেয় আমাদের।
রমজান শেখ ও মো. আলমগীর হোসেন নামের দুই খুচরা মাছ ব্যবসায়ী বলেন, অন্যান্য জেলার মতো আমাদের এখানেও যদি মণ প্রতি দুই থেকে তিন কেজি ধরে বিক্রি করে আমাদের কাছে, তাহলে কেনা দামে বিক্রয় করলেও আমাদের লোকসান হয় না।
ফরিদপুর ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ জানান, গত কয়েকদিন যাবত বিভিন্নভাবেই আমাদের কাছে অভিযোগ আসছিল ইলিশের সিন্ডিকেটের বিষয় নিয়ে। যে কারণেই আমরা বাজার পরিস্থিতি জানার জন্য অভিযান পরিচালনা করি। বাজারে নানা অভিযোগ আমাদের দৃষ্টিতে আসে। প্রাথমিকভাবে আমরা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছি।
তারপরেও দুটি আড়তদারকে (দুর্গা মৎস্য ভান্ডার ও রুপালি ইলিশ) ৪০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানকালে ভোক্তা অধিদফতরকে সহযোগিতা করেন আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা।
এবি