ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

কাপ্তাই বাঁধকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে আবারো পানি ছাড়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি 

প্রকাশিত: ১৮:২৬, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কাপ্তাই বাঁধকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে আবারো পানি ছাড়া হচ্ছে

কাপ্তাই বাঁধ।

রাঙামাটির কাপ্তাই লেক এলাকায় প্রতি রাতে ভারি বর্ষণ ও ভারতের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসা ঢলের পানির কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদ সীমায় পৌঁছে গেছে। ফলে কাপ্তাই বাঁধকে বিপদ মুক্ত রাখতে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে ফের প্রতি সেকেন্ডে ৮০ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। 

প্রতিদিনই ভারি বৃষ্টি ও উজানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটি, বাঘাইছড়ি নানিয়াচর ও লংগদু উপজেলার  নিন্মাঞ্চলে প্রায় ২০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে দূর্ভোগে পড়েছে। কাপ্তাই হ্রদে স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুত কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, সোমবার দুপুর থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের  ১৬টি জলগেইট ৪ ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে কাপ্তাই হ্রদ হতে প্রতি সেকেন্ডে ৮০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে আছড়ে পড়ছে।

এর আগে, সকাল ১১টা পর্যন্ত পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীলওয়ের ১৬টি জলগেইট দিয়ে ৪২ ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হচ্ছিল। উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহূর্তে কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধির ফলে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে পিডিবি ম্যানেজার জানান।

প্রয়োজনের চেয়ে পানি অতিরিক্ত হওয়ার ফলে রাঙামাটির নিন্মাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। আমরা বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর দুপুর থেকে পানি সেকেন্ডে ৮০ হাজার কিউসেক করে ছেড়ে দিচ্ছি। 

কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকে  ১০৮.৭২  ফুট মিনস সী লেভেল পানি রয়েছে। লেকে পর্যাপ্ত পানি থাকায় বর্তমানে কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে দৈনিক পাঁচটি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট প্রথম কাপ্তাই বাধেঁর ১৬টি স্পিলওয়ে ৬ ইঞ্চি করে খুলে দিয়ে প্রতি সেকেণ্টে ৯ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছিল। এই ধারা অব্যাহত রাখার পর হ্রদে পানির প্রবাহ অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের ৪ ফুট করে পানি ছাড়া হচ্ছে।

 

এম হাসান

×