কাপ্তাই লেক। ফাইল ছবি
চাহিদা মতো চাদাঁ প্রদান না করায় জেলেদেরকে হুমকি ও মাছ ধরায় সন্ত্রাসীরা বাধা দিচ্ছে। ফলে কাপ্তাই লেকের বেশ কিছুস্থানে মাছ শিকার বন্ধ করে দিয়েছে জেলেরা।
পহেলা সেপ্টম্বর মধ্য রাত হতে কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষে হয়ে যাওয়ার পর জেলেরা মাছ শিকার করতে গেছে সন্ত্রাসীরা চাঁদার জন্য লেকের কয়েকস্থানে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে। সন্ত্রাসীদের চাহিদা মাফিক চাঁদা প্রদান না করায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জেলেরা জানায়। ফলে কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আজ রবিবার কাপ্তাই মাছ অবতরণ ঘাটে সকালে কোন মাছ জেলেরা নিয়ে আসেনি।
কাপ্তাই মৎস্যজীবি সমিতির কয়েকজন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এই বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে এই প্রতিবেদককে জানান, কাপ্তাই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নিকট হতে অতিরিক্ত বাৎসরিক চাঁদা দাবি করে, যা অন্যান্য বছরে তুলনায় অনেক বেশি। তাদের কথামতো চাঁদা না দেওয়ায় জেলেদের মাছ ধরতে নিষেধ করেছেন তারা। ফলে জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছে।
কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপকেন্দ্র প্রধান আজ রবিবার সকাল পর্যন্ত কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কাপ্তাইয়ের জেলেরা কোন মাছ অবতরণ করেন নাই বলে জানান। কি কারণে জেলেরা মাছ ধরা হতে বিরত আছে তা জানা যায়নি। শুধু কাপ্তাই এলাকায় নয় লেকের আরো বেশ কিছু স্থানে জেলেরা মাছ শিকার করতে যায়নি বলে মৎস্য কর্পোরেণ সূত্রে জানা গেছে। ফলে এই বছর প্রথমদিন মাছ আহরণ কম হয়েছে বলে সূত্রটি জানায়।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই লেকে মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কাপ্তাই মাছ শিকার বন্ধ ছিল। এরপর চাঁদা বাজের এই ঘটনায় জেলেরা উৎবিগ্ন হয়ে পড়েছে।
এম হাসান