ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১

দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাতে দুই সমন্বয়কের পরামর্শ

ইমেজ সংকট কাটিয়ে জনগণের আস্থা ফেরাতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৪৯, ২৯ আগস্ট ২০২৪

ইমেজ সংকট কাটিয়ে জনগণের আস্থা ফেরাতে হবে

সমন্বয়ক সারজিস আলম দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে

গত ১৬ বছরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যে ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছে সেখান থেকে বের হয়ে জনগণের আস্থার জায়গায় আসার পরামর্শ দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

তাদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেন। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আসেন তারা। পরে তারা দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সোয়া একটার দিকে বেরিয়ে যান।

সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, কাউকে পদে বসানো, কাউকে পদত্যাগ করানো, কারও থেকে চাঁদা তোলা বা তদবির করা এগুলো প্রাচীন, অতীত। আমরা এসবকে লকারবন্দি করতে চাই। তিনি জানান, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নাম বা সাইন জালিয়াতি করে হুমকি ও মামলা দেওয়া হচ্ছে, আমাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিপ্রায়ে এসব করা হচ্ছে। আমাদের সমন্বয়ক নাম ব্যবহার করে বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। সিস্টেম সিস্টেমের মতো করে চলবে। দুদকের আইন অনুযায়ী দুদক কাজ করবে।
সমন্বয়ক সারজিস আলম সাংবাদিকদের জানান, গত ১৬ বছরে দুদকের যে ইমেজ সংকট  তৈরি হয়েছে তা থেকে যেন তারা বের হয়ে আসতে পারে সে বিষয়ে আমরা দুদকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। দুদক যেন জনগণের আস্থার জায়গা ফিরে পেতে পারে।
তিনি জানান, বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়ক পরিচয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মামলা দেওয়া হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেহেতু নিজের পরিচয় ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ হাসিল করতে পারছে না, বিতর্কিত করার অভিপ্রায়ে তারা আমাদের নাম ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। সমন্বয়ক পরিচয়ে আমরা বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা দাবি করতে পারি না। যারা দাবি করছে তাদের আইনে সোপর্দ করে দেবেন।
সারজিস আলম জানান, একটা গোষ্ঠী মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজির চেষ্টা করছে। এই দুইটি সমস্যা খুবই প্রকট। কেউ আমাদের নাম ভাঙিয়ে যদি মিথ্যা মামলা বা চাঁদাবাজির কোনো কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে কমিশন যেন কঠোরভাবে অবস্থান নেয়। যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমরা কখনো চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা সমর্থন করি না। যারা এগুলো করে তাদের যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

×