চুয়াডাঙ্গা জেলা।
চুয়াডাঙ্গায় পুকুর থেকে মাছ চুরি ও চাঁদাবাজির ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহায়মেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ এবং ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত সাহা বিশুসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও ওই মামলা দুটিতে ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন সদর উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের নবীছদ্দিন মন্ডলের ছেলে আফজাল হোসেন এবং চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হক পাড়ার ঝণ্টু খানের ছলে ইমরান খান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউপি নির্বাচনে আফজাল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অংশ নেন। ওই সময় বিশ্বজিৎ সাহা বিশু ও আরশাদ আলী চন্দনসহ আরও ৪-৫ জন আফজালের দোকানে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে আফজালকে তুলে নিয়ে গিয়ে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় ৫০ হাজার টাকা দিলেও তারা পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেন। ওই ঘটনায় গতকাল আফজাল হোসেন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ার ইমরান খান বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন, বেলগাছি রেলগেইট এলাকার একটি পুকুর লিজ নিয়ে তিনি মাছ চাষ করতেন। ঘটনার দিন গত ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, মোহাম্মদ জানিফ, আকাশসহ আরও ২৫-৩০ জন আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্রসহ ককটেল নিয়ে তার পুকুরের পাশে যান। এ সময় আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাম্প মেশিন বসিয়ে ওই পুকুরের পানি ছেঁকে সব মাছ ধরে নিয়ে যান। তারা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মাছ নিয়ে যান বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন বাদী।
দুটি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তার দুটি মামলার কপি পেয়েছেন। এর মধ্যে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। অপর একটি মামলা রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
এম হাসান