বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে করা হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা
আমতলী উপজেলার পশ্চিম গাজীপুর এলাকার জিনবুনিয়া খালের ফ্লাসিং স্লুইসগেট দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বাহাদুর মৃধা, মজিবুর মৃধা ও তাদের সহযোগীরা। ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনে তারা বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে দিয়েছে। এতে গলাচিপা উপজেলার গোলখালী, নলুয়াবাগী, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর ও হলদিয়া ইউনিয়নের শত শত যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। দ্রুত অবৈধভাবে স্লুইসগেট দখল করে বাড়ি নির্মাণ ও বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাটার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, বুধবার বিকেলে সফিউল মৃধা পশ্চিম গাজীপুর জিনবুনিয়া খালের আজাহার মাস্টারবাড়ির সামনে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে দিয়েছে। এতে গলাচিপা উপজেলার নলুয়াবাগী, গোলখালী, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর ও হলদিয়া ইউনিয়নে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
দ্রুত তদন্ত করে জিনবুনিয়া খালের ফ্লাসিং স্লুইস দখলমুক্ত এবং বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাটার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় ২০-২৫ জন ভেকু লাগিয়ে বাঁধ কেটে দিচ্ছে। পাশে শত শত যানবাহন দাঁড়িয়ে আছে। পশ্চিম গাজীপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় সরকার গত ৩৫ বছর আগে জিনবুনিয়া খালে ফ্লাসিং স্লুইসগেট নির্মাণ করে।
কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী বাহাদার মৃধা, মজিবুর মৃধা ও তাদের সহযোগীরা ওই স্লুইসগেট আটকে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দেয়। পরে ওই স্লুইসগেট দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছে তারা। সফিউল মৃধা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁধ কেটে দিয়েছি। তবে স্লুইসগেট দখল করে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে রেখেছেন কেন এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। যারা কেটেছে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব বলেন, বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাটার কোনো বিধান নেই। যারা কেটেছে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।