ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা
মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা। পালরদী নদীর ওপরে যুগের পর যুগ ব্রিজ নির্মাণের দাবি করা হলেও উপজেলার রজমানপুর ইউনিয়নের চরপালরদী খেয়াঘাটে এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি কোনো ব্রিজ। এতে করে দুই উপজেলাকে বিভক্ত করে রেখেছে এই নদী। ফলে নদী পারাপারের জন্য দিন-রাত কয়েকটি ডিঙ্গি নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে নদীর দু’পাড়ের কয়েক হাজার মানুষকে।
তবে সেতু না থাকায় পড়াশোনা, কৃষিপণ্য পরিবহনে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঝড়-বৃষ্টির সময় ভোগান্তির শেষ থাকে না। এদিকে স্বাধীনের পরে এই নদীর দুই পাড়ে প্রভাবশালী অনেক এমপি ও মন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরও ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কৃষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা বলছেন, নদীর দুই পারের বাসিন্দাদের নানা কাজে দুই পারে যাতায়াত করতে হয়। চাকরি-বাকরি, সন্তানদের পড়ালেখা, চাষাবাদ করা পণ্য এপার থেকে ওপারে নৌকায় আনা-নেওয়া করতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এমতাবস্থায় রজমানপুর ও কয়ারিয়া, পিঙ্গলাকাঠিসহ কমপক্ষে ১০টি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের সাধারণ জনগণের দাবি পালরদী নদীর রমজানপুরের চরপালরদী খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রমজানপুর ও গৌরনদী গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে পালরদী নদী। নদীর একদিকে কালকিনির রমজানপুর, কয়ারিয়া, সাহেবরামপুর, সিডিখান, শিকার মঙ্গলসহ পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রাম। অন্যদিকে গৌরনদীর পৌর এলাকা, পিঙ্গলাকাঠিসহ প্রায় ১০টি গ্রাম।
এপারের অনেকের ওপারে, আবার ওপারের অনেকের এপারে কৃষি জমি, ব্যবসা-বাণিজ্য আছে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যাওয়ার জন্য নৌকা দিয়ে পার হতে হয়। বীর মুক্তযোদ্ধা জয়নাল ও আজিজ বলেন, স্বাধীনের পরে এই নদীর দুই পাড়ে প্রভাবশালী অনেক এমপি ও মন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তারা ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ না নিয়ে তারা তাদের আখের গুছিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, চরপালরদী খেয়াঘাটে পালরদী নদীর ওপরে ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।