সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: জনকণ্ঠ
দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিগত সময়গুলোতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুনীতি হয়েছে। ২০১০ সালে আইন করার মাধ্যমে কোন প্রতিযোগিতা ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ করা হতো। এর মধ্য দিয়ে খাতিরের লোকজনের মধ্যে প্রকল্প ভাগ ভাটোয়ারা করা হতো। তাদের ইচ্ছে মতো বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হতো। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অনিয়মের মাধ্যমে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে তা নানা অযুহাতে গ্রাহকের কাছে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজ শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ৩৫ মেগাওয়ার্টের একটি সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি আরোও বলেন, দেশের বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িক বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। পানি নেমে যাওয়ার সাথে-সাথে দ্রুত সঞ্চালন লাইন চালু করা হবে।
এর আগে তিনি, মানিকগঞ্জের বেউথা মিফতাহুল হাফিজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিদর্শন ও শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন। মাদ্রাসার পাশে কবরস্থানে তার শ্বশুরের কবর জিয়ারত ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব মো. হাবিবুর রহমান, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, স্পেক্টা গ্রুপ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়র আফতাব উদ্দিন খান বাচ্চু, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আকতারুজ্জামান খান মাসুমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআর