অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ধসে পড়েছে ডিমলা-ডোমার দুই উপজেলার সংযোগ পাকা সড়ক
জেলার দুই উপজেলা ডিমলা ও ডোমার সংযোগের পাকা সড়কের একাংশ ও সিসি ব্লক বুড়িতিস্তা নদীতে ধসে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। ঝুঁকি নিয়ে ভ্যান, অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেল চললেও বন্ধ রয়েছে ট্রাক ও বাস চলাচল।
শুক্রবার এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, ডিমলা উপজেলার সুন্দর খাতা-রামডাঙ্গা এলাকার শৈল্লারঘাট সেতুটি ২টি উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে সেতুর সংযোগ সড়কের প্রায় ৫০০ মিটার অংশ নদীতে ধসে পড়ে।
এলাকাবাসী জানান, ডিমলা উপজেলার সিংগাহারা-বুড়িতিস্তা নদীর পাড় হিসেবে ব্যবহার হয় সড়কটি। প্রতিবছর নদীভাঙনে সড়কটি সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় সড়কের ভাঙন রোধে তিন বছর আগে নদীর ওই অংশে ৩০০ মিটার আরসিসি গাইড ওয়াল নির্মাণ করে সিসি ব্লক স্থাপন করে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। কিন্তু গাইড ওয়ালের ভিত নির্মাণে ত্রুটি, অপরিকল্পিত নকশা ও নিম্নমানের কাজের কারণে কাজ শেষ না হতেই সেটি হেলে পড়ে বিভিন্ন অংশে ফাটলের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গাইড ওয়াল ভেঙে নদীতে ধসে পড়ে।
এ অবস্থায় সড়কের ভাঙন রোধে জিও ব্যাগে বালু ভরাটের জন্য ভাঙন কবলিত এলাকা থেকেই বালু উত্তোলন করে ঠিকাদার। ফলে হিতে বিপরীত হয়ে পাকা সড়ক কয়েক স্থানে ধসে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
সুন্দর খাতা গ্রামের বাসিন্দা নুর উদ্দিন জানান, নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে চলতি বর্ষায় নদীভাঙনে তার শেষ সম্বল ৫ শতাংশ বসতবাড়ি নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। বিলীন হয়েছে এক কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক।
এ বিষয়ে নীলফামারী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ দিয়ে সড়কটি বাঁধা হচ্ছে। ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঈশ্বরগঞ্জে বেইলি সেতু ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকে জানান, ভারি বর্ষণে ধসে পড়েছে বেইলি সেতু। উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের উচাখিলা বাজার থেকে মরিচারচর সড়কের বটতলা এলাকায় সেতুটি ভেঙে পড়ায় ১৪ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় ব্রিজটি হঠাৎ ভেঙে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছে স্থানীয়রা, থমকে গেছে চলাচল। চর আলগী গ্রামের ফারুক মিয়া (৪০) বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। আমরা এই ব্রিজ পার হয়ে উচাখিলা ও ঈশ্বরগঞ্জের বাজারে কৃষিপণ্য বিক্রি করতে যাই। এখন আমরা খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি।’ ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাসার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এ অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হবে।