আত্রাইয়ে পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত কৃষক
উত্তর জনপদের শষ্য ভা-াখ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কৃষকরা এখন কোমরপানিতে নেমে পাটের আঁশ ছাড়ানো ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষিপ্রধান এ দেশে এক সময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট চাষে কৃষক দুরাবস্থার সম্মুখীন হলেও চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সোনালি আঁশের দিন ফিরে আসতে শুরু করেছে।
বর্তমানে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণী। অন্য বছরের তুলনায় এবার পাটের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে হাঁসির ঝিলিক।
উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ভালোমানের পাটের মূল্য ৩২শ’ টাকা মণ ও নিম্নমানের পাটের মূল্য ২৯শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ন্যায্য মূল্য পেয়ে পাট চাষীদের মাঝে এখন পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলার সাহেবগঞ্জ ব্লকের কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, এবার আমি ২বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে পরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে পাটের দামও বেশি। আগামি বছর আরও বেশি জমিতে পাট চাষ করব বলে মনস্থ করেছি।
উপজেলার সাহেবগঞ্জ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। পাটের ফলন ও দাম অনেক বেশি। এলাকার কৃষকরা যাতে পাট যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারে এবং স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল পাট উৎপাদন করতে পারে এ জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরামর্শ প্রদান করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। পাটের ফলন ভালো হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পাটের দামও অনেক বেশি। পাটের নায্য মূল্য পেলে চাষিদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।