ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

ফেনীতে ৬০ গ্রাম প্লাবিত

বান্দরবানে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে শতাধিক বাড়িঘর 

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:১১, ৪ আগস্ট ২০২৪

বান্দরবানে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে শতাধিক বাড়িঘর 

ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে অনেক গ্রাম

বান্দরবানে টানা ভারি বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে পানিতে তলিয়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি। সাজেকে সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কয়েকশ’ পর্যটক আটকা পড়েছেন। ফেনীতে ৬০ গ্রাম প্লাবিতসহ পানিবন্দি হাজারো মানুষ। এদিকে বাড়ছে তিস্তাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। পটুয়াখালী,  সৈয়দপুর, বাগেরহাট ও মানিকগঞ্জে  বৃষ্টি ও  প্রবল বর্ষণে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার।
বান্দরবানে টানা ভারি বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে সাংগু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লামা, আলীকদম ও বান্দরবান সদরের নি¤œাঞ্চলের কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া বন্যাকবলিত হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ঘুমধুম ইউনিয়ন। ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক শত পরিবার। 
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা সদরে সাংগু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বান্দরবান পৌর এলাকার ইসলামপুর, আর্মিপাড়া, ওয়াপদা ব্রিজ, গোদার পাড়া, কাসেম পাড়া, ক্যাচিংঘাটাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নাগরিকরা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্র থাকা পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া শনিবার দুপুরের পর বৃষ্টি পরিমাণ কমে আসায় নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে আবার ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সাঙ্গু নদীর পানি বেড়ে পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে বলে জানা গেছে। 
এদিকে, ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে এবং পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে প্রশাসন। 
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. সামসুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে ভারি বৃষ্টির কারণে পৌর এলাকার অনেক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গিয়ে অনেক পরিবার বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। তাদের পৌরসভা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, গত তিন ধরে বান্দরবানে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে নি¤œাঞ্চলের কয়েক শত ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ের জন্য সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে ২১৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র।
ফেনী ॥ অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার সার্বিক বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মুহুরী  নদীর বাঁধের  আটটি স্থানের  ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকে দুই উপজেলার ৬০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পরশুরাম পৌরসভার বেড়াবাড়ি এবং বাউরখুমা দুইটি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়, এতে করে বাউরখুমা, বাউরপাথর, বিলোনিয়া, দুবলাচাঁদ, বেড়াবাড়িয়া, উত্তর গুথুমা, কোলাপাড়া এবং বাসপদুয়া গ্রামে প্রায় ৭০০০ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম মির্জানগর এবং কাউতলী দুইটি স্থানে ভাঙনের ফলে উত্তর মনিপুর, দক্ষিণ মনিপুর, কালী কৃষ্ণনগর, গদানগর, উত্তর কাউতলী, দক্ষিণ কাউতলী, দাসপাড়া, চম্পকনগর, মেলাঘর, গ্রামের প্রায় ২০০০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।  
রাঙ্গামাটি ॥ পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বর্ষণের ফলে দীঘিনালা কবাখালী সড়ক ও বাঘাইহাট বাজার সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাজেক বেড়াতে যাওয়া কয়েক শত পর্যটক আটকা পড়েছেন। একই সঙ্গে বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 
গত পাঁচদিনের বৃষ্টিপাতের ফলে হঠাৎ পানি বেড়ে সড়কের কিছু অংশ তলিয়ে যাওয়ায় বাঘাইহাট এলাকায় সড়ক ঢুবে যাওয়ায় বহু পর্যটক ফিরতে না পারায়  বর্তমানে তারা সাজেক অবস্থান করছেন।
খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের একাংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায়  শনিবার সকাল থেকে বাঘাইছড়ির সঙ্গে অন্যান্য জেলা-উপজেলায়  ছোট-বড় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষযে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আখতার জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারণে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের একাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে সাজেকে বেড়াতে আসা প্রায় ৩ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। আটকাপড়া পর্যটকরা বর্তমানে সাজেক অবস্থান করছেন। তবে সড়ক থেকে পানি নেমে গেলে তাদের সাজেক থেকে ফিরিয়ে আনা হবে। বর্তমানে পর্যটকদের নিরাপদে সাজেকে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে, কাচালং নদীর পানি বিপৎসীমা রেখার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার আশঙ্কায় উপজেলার সবকটি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
নীলফামারী ॥ টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীর পানি। এর পাশাপাশি উজান থেকে পানি ছাড়া শুরু হয়েছে। এতে শনিবার উত্তরাঞ্চলের তিস্তাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু কয়েছে। ফলে নদীপাড়ে আবারও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 
সূত্র মতে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় উজানে ভারতের জলপাইগুড়ির গজলডোবা তিস্তা ব্যারাজের ২ হাজার ৫৯৯ দশমিক ৫৩ কিউসেকের কিছু বেশি পানি ছাড়া হয়েছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে এই পানি ছাড়া হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ছয়টি স্লুইসগেট থেকে। এই গজলডোবা থেকে তিস্তা নদী বাংলাদেশে গিয়ে পড়েছে। গজলডোবা এলাকায় তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীর দুই পাড়ের মানুষ।
শনিবার রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এই অঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ঘাঘট, যমুনাশ্বরী, আপার করতোয়া, পুনর্ভবা, টাঙ্গন, ইছামতি-যমুনা এবং আপার আত্রাই নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেতে পারে। 
শনিবার সকালে উজানের  তিস্তা-গজলডোবা ব্যারাজ থেকে পানি ছাড়া হয়। এর ফলে তিস্তায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। বৃষ্টির কারণে এমনিতেই তিস্তা ফুঁসতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দিনও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

এই পরিস্থিতিতে তিস্তা নদীর সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বৃষ্টি বাড়লে সেখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ভারতের দোমহনি এবং মেখলিগঞ্জে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফ উদ্দৌলা জানান, তিস্তাপাড়ে আমাদের নজরদারি রাখা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মানিকগঞ্জ ॥ ঘিওর উপজেলার হাটবাজারে কয়েক দিনের বৃষ্টি ও প্রবল বর্ষণে ১০ থেকে ১২টি স্থানে জলাবদ্ধতার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাসহ হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা এবং খানাখন্দে ভরা  সড়ক ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে দিনের পর দিন। পানিতে ডুবে থাকা সড়কের গর্তে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় নানা ধরনের দুর্ঘটনা। অতি বৃষ্টি ও প্রবল বর্ষণে বাজারের সমস্ত অলিগলিতে পানি জমে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ময়লা,অস্বাস্থ্যকর নোংরা পানি জমে মশা, মাছির উৎপাত আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে জেলার ঐতিহ্যবাহী ঘিওর হাট-বাজারের উন্নয়নের জন্য ৪ থেকে ৫টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত হাট বাজারের সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। 
পটুয়াখালী ॥ উপকূলে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারি বর্ষণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে,  পটুয়াখালীতে এই অতিরিক্ত মৌসুমি বৃষ্টির প্রভাবে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। 
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত বৃহস্পতিবার থেকে পটুয়াখালী উপকূলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি চরমে। বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বাসা বাড়িতেও পানি প্রবেশ করেছে। পানিতে ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। বিভিন্ন গ্রামীণ কাঁচা সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। জলমগ্ন হয়েছে অনেক নি¤œাঞ্চল। 
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, জেলার অধিকাংশ জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। তবে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 
বাগেরহাট ॥ মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা তিন দিনের ভারি বর্ষণ ও নি¤œচাপের কারণে উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। পানির নিচে ১শ’ বিঘা আমন ধানের বীজতলা নিমজ্জিত হয়ে সাধারণ কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। ভারি বর্ষণ ও অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে নদীর তীরবর্তী শত শত পারিবারের রান্না খাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। দিনে দু’বার তারা ভাসতে জোয়ারের পানিতে। অনেক স্থানে কাঁচা পাকা রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে অতিরিক্ত পানির চাপে। 
সদর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, এ ইউনিয়নে কাঁঠালতলা, গাবতলাসহ নি¤œাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হেক্টর আমন বীজতলা পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে বৃষ্টি থেমে গিয়ে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হলে কৃষকের তেমন একটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না বলে এ কর্মকর্তা জানান।
সৈয়দপুর ॥ টানা তাপদাহের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে। তবে বিপাকে পরেছে নি¤œআয়ের মানুষজন। শহর ও হাট বাজারে মানুষের উপস্থিতি কম থাকায় বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে কেটেছে সড়ক কিংবা খেতে। 
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বা হাল্কা বৃষ্টিপাতে জনজীবনে স্বস্তি নেমে আসে। তবে এ স্বস্তি নি¤œ আয়ের মানুষের কাছে কষ্টের কারণ হয়ে দেখা দেয়। রিক্সাচালক ও কৃষি শ্রমিকদের শ্রাবণের বৃষ্টি¯œাত দিনে ভিজে কাজ করতে দেখা গেছে।   
নোয়াখালী ॥ শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে নোয়াখালীতে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৭৭ মিলিমিটার। জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, এটি গত ২০ বছরের মধ্যে নোয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। দুপুরে সরেজমিনে জেলা জজ কোর্ট রোডসহ পাশর্^বর্তী সড়কগুলো ১ থেকে দেড় ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালী জেলা শহরের বেশিরভাগ এলাকা ডুবে গেছে। সড়কেও উঠেছে পানি। এ ছাড়া প্লাবিত হয়েছে জেলার ৯টি উপজেলার বেশিরভাগ নিচু এলাকাও। এতে জেলার বাসিন্দারা ভোগান্তিতে রয়েছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে নৌ যোগাযোগও ব্যাহত হচ্ছে।

×