মুলাদী হাসপাতালের ভবন নির্মাণে পিলারের আংশিক কাজ করে ফেলে রেখেছে ঠিকাদার
নদীবেষ্টিত জেলার মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১-৫০ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষণা করা হয় ২০০৬ সালে। এরপর দেড় যুগ পেরিয়ে গেলেও শয্যার সংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে ১৯ শয্যার ভবনে চলছে চিকিৎসাসেবা।
ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও চিকিৎসকরা। বেশিরভাগ সময় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আর এক কক্ষে ২/৩ জন চিকিৎসক বসে রোগী দেখতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুর রহমান বলেন, ২০২০ সালে হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবন ভেঙে ৩১ শয্যার নতুন তিনতলা ভবন বরাদ্দ হয়। কিন্তু ঠিকাদার মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ ওই সময়ে কাজ শুরু করেনি। বিষয়টি স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর পর ঠিকাদার ২০২২ সালে কাজ শুরু করেন। ২০২৪ সালের ৩০ জুন ভবনটি হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার পাইলিং এবং কয়েকটি পিলারের আংশিক কাজ করে ভবনটি ফেলে রেখেছেন। গত প্রায় দুই মাস ধরে পুরো কাজ বন্ধ রয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরও বলেন, ভবন না হওয়ায় ১৯ শয্যার হাসপাতালে ৫০ জনের বেশি রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এতে রোগী, চিকিৎসক ও সেবিকাদের (নার্স) প্রায় প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এক কক্ষে ২/৩ জন চিকিৎসক বসে বহির্বিভাগের রোগী দেখতে হচ্ছে। সংকটের কারণে ছোট কক্ষে প্যাথলজির কাজ করতে হচ্ছে। তাই দ্রুত ৩১ শয্যার ভবনটি নির্মাণ করা হলে রোগী ও চিকিৎসকদের ভোগান্তি নিরসন হবে।
এ ব্যাপারে কোহিনুর এন্টারপ্রাইজের সহকারী প্রকৌশলী স্বপন বসু বলেন, ইতোমধ্যে মুলাদী হাসপাতালের পাঁচতলা ভিত বিশিষ্ট তিনতলা ভবনের পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন করে পাথর, সিমেন্টসহ প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভবনটি হস্তান্তরের চেষ্টা করা হবে।