গজারিয়ায় গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বালুচর খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার
গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বালুচর খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে অন্তত ২০ হাজার মানুষ মেঘনা পারি দেয় নানা প্রয়োজনে। গজারিয়া উপজেলার দুটি ইউনিয়ন এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ২০ হাজার মানুষকে মেঘনার শাখা নদী পার হতে হয়। এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে নদী পার হতে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই এলাকার যাতায়াতের সার্বিক সুবিধার্থে একটি সেতু নির্মাণের দাবি তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বালুচর খেয়াঘাট দিয়ে যাতায়াত করে এ উপজেলার ভাষারচর, বসুরচর, গুয়াগাছিয়া, শিমুলিয়া, কদমতলি, জামালপুর, শান্তিনগর, বালুয়াকান্দি, বালুরচর, ভাওয়ালচক, দত্তেরচর, চর চৌদ্দকাহনিয়াসহ ১২ টি গ্রামের মানুষ।
বর্ষা মৌসুমে খেয়া পারাপারে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণে। তাই এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা অনেকদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন। পোড়াচক গ্রামের ব্যবসায়ী বালুরচর গ্রামের নুরে আলম সিদ্দিক বলেন, শত বছরের এই বাজারে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকের সমাগম ঘটে। তাছাড়া সপ্তাহে হাটের ক্রেতা-বিক্রেতার চাপ বহুগুণে বেড়ে যায়। তখন খেয়া পারাপারে অনেক দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। তাই এখানে একটা স্থায়ী সেতু নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি।
গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ এই খেয়াঘাটে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ তো নিত্যদিনের ব্যাপার। তাছাড়া রাতে কেউ অসুস্থ হলে ট্রলার না পাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীকে নিতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গজারিয়া কলিম উল্লাহ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুর রহমান জানান, এই ঘাট দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আমাদের কলেজের অনেক শিক্ষার্থী পারাপার হয়।
একবার নৌকা ধরতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ট্রলার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ট্রলারের আকারও অনেক ছোট। তাই কয়েকটা মোটরসাইকেল উঠলেই আর লোকজন ওঠার জায়গা থাকে না। ফলে স্কুল-কলেজে যেতে দেরি হয়ে যায়। বিশেষ করে পরীক্ষার সময় নৌকা মিস করলে আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত একটা সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছে এলাকাবাসী।