ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

শ্যাওলা ধরা জিও ব্যাগে আহত হচ্ছেন পর্যটক

​​​​​​​নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ২৬ জুলাই ২০২৪

শ্যাওলা ধরা জিও  ব্যাগে আহত  হচ্ছেন পর্যটক

.

ধূসর রঙের জিও ব্যাগ টিউবে শ্যাওলা ধরে গেছে। পর্যটকরা হাঁটতে গিয়ে পা পিছলে আহত হচ্ছেন। আবার এবড়ো-থেবড়ো থাকায় জোয়ারের সময় ঘূর্ণিস্রোতের সৃষ্টি হয়। শিশু-কিশোর নিয়ে গোসল করতে গিয়ে বিপদের শঙ্কায় পড়েন। ইতিপূর্বে ডুবে এক কিশোর পর্যটকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। শিশুরা না বুঝে দৌড়াতে গিয়ে অহরহ পা পিছলে আহত হয়। ছাড়া প্লাস্টিক পলিথিনের দূষণ তো আছেই। সাগরকন্যা কুয়াকাটা সৈকতের শূন্য পয়েন্টের এক কিলোমিটার এলাকার এমন দুরবস্থা হয়েছে। প্রতিনিয়ত পর্যটকরা আহত হচ্ছেন।

প্রকৃতির লীলাভূমি সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের মতো নজরকাড়া দৃশ্য অবলোকনের সৈকতটি এখন যেন অনেকটা শ্রীহীন হয়ে পড়েছে। নিত্যকার পরিচ্ছন্নতা অভিযান নেই। অপরিকল্পিতভাবে সাগরের ভাঙন রোধের প্রটেকশন দেওয়ার কারণে এমন হাল হয়েছে সৈকতটির। আর এসব ভোগান্তির কারণে পর্যটকরা কুয়াকাটার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, জরুরিভাবে সাগরের ভাঙন থেকে সৈকত বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা রক্ষায় জিও টিউব ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছে। এটি ইমার্জেন্সি পদক্ষেপ। তবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেকুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত রক্ষা উন্নয়ননামের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতের ভাঙনপ্রবণ প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকা রক্ষায় স্থায়ী এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য ৭৫৯ কোটি ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে। সমুদ্র তীর প্রতিরক্ষা কাজের জন্য ৬৮টি গ্রোয়েন নির্মাণ, ট্যুরিজম পার্ক, মসজিদ-মন্দির এলাকার প্রতিরক্ষায় ৬০০ মিটার এলাকায় কাজ করা হবে। ছাড়া দুই কিলোমিটার ৭০০ মিটার সি-বিচের স্লিপিং ডিফেন্স নির্মাণ করে প্রতিরক্ষা করা হবে। তখন আর জিও ব্যাগ কিংবা জিও টিউবের ব্যবহার থাকবে না। পর্যটকের ভোগান্তি দূর হবে। বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে থাকা প্রকল্পটি কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে পর্যটকসহ কুয়াকাটার ব্যবসায়ী, বিভিন্ন বিনিয়োগকারীরা উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, আমরা মূলত কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জরুরি ভিত্তিতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

×