ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

নিহত সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলো রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদদাতা, রংপুর

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ২৬ জুলাই ২০২৪; আপডেট: ১৮:৫০, ২৬ জুলাই ২০২৪

নিহত সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলো রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

নিহত আবু সাঈদ। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার সময় সাঈদের বাবা-মায়ের হাতে সাড়ে সাত লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে সহায়তা প্রদানের সময় প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ, কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির নির্দেশে সাঈদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভিসি নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন। পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে সাড়ে সাত লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

এ সময় নিহত আবু সাঈদের বৃদ্ধ বাবা মকবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে আরেকদিন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। সে সময় আমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন ভিসি। আমাদের খোঁজ নেন। পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম, আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। সন্তানকে তো আর ফিরে পাবো না। আমাদের পরিবারের একজনকে একটা চাকরি দিলে হয়তো একটু ভালোভাবে চলতে পারবো শেষ সময়ে।

প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রেখেছেন। এছাড়া পরিচিত অপরিচিত অনেকেই সহায়তা করছেন বলে জানান তিনি।

সাঈদের বাবা আরও বলেন, আমার কলিজার টুকরা ছিল আবু সাঈদ। তার প্রাইভেট পড়ানোর (টিউশনের) জমানো টাকায় চলতাম আমরা। সন্তান হারিয়েছি, এ শোকের কোনো সান্ত্বনা নেই। পিতা হয়ে সবচেয়ে ভারী কাজ হলো সন্তানের লাশ কাঁধে নেওয়া।

১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রংপুর নগরীতে মিছিল বের করে পাঁচ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এ সময় আবু সাঈদ তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এরপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ শতাধিক রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আবু সাঈদ একাই অবিচল দাঁড়িয়ে মোকাবিলার চেষ্টা করেন। পুলিশের সামনে বুক উঁচিয়ে দেন। তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তার বুকে গুলি বিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। 

তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসআর

×