ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ।
ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় সরগরম হয়ে উঠেছে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। সাগরে ইলিশ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বুধবার (২৪ জুলাই) দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে বেড়েছে ইলিশের আমদানি। প্রতিদিন দেড়শ থেকে প্রায় ২০০ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। তবে কারফিউয়ের প্রভাবে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় কিছুটা দাম কমেছে ইলিশের।
ব্যবসায়ীরা জানান, বুধবার ইলিশের বিভিন্ন সাইজের মধ্যে ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা। ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। এক কেজি ওজন ও এর বেশি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা।
হাজীগঞ্জ থেকে আসা ক্রেতা মামুন ও মোজাম্মেল বলেন, ‘আমরা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের বাসিন্দা হলেও ইলিশের স্বাদ নিতে পারি না। কারণ কয়েকটি খুচরা দোকানে ইলিশ দেখে মনে হলেও আমাদের কেনার সাধ্য নেই। দামদর করছি যদি মিলে যায় তাহলে কিনব।’
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার মানিক বলেন, ‘গত বছর ইলিশের মৌসুমের এই সময় আড়াই থেকে ৩ হাজার মণ ইলিশ এসেছে। কিন্তু এবার অনেক কম এসেছে ইলিশ। এখন প্রতিদিন স্থানীয় পদ্মা-মেঘনাসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে গড়ে দেড়শ থেকে ২২০ মণ ইলিশ আসছে। ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভাবতে হবে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় বছর জুড়েই জেলেরা ইলিশ পান। এখন ভরা মৌসুম হলেও সামনে ইলিশের আরও বেশি ধরা পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’
এম হাসান