ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ বাড়ছে

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত ॥ তিস্তায় পানি বৃদ্ধি

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ১৩ জুলাই ২০২৪

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত ॥ তিস্তায় পানি বৃদ্ধি

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি মানুষের। তিস্তার পানি বেড়ে  প্লাবিত হয়েছে রংপুর ও নীলফামারীর নি¤œাঞ্চল। টাঙ্গাইলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বানভাসিরা।  বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপসহ নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ। রাজশাহীতে বাগমারার দুই নদীতে পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত হয়েছে নি¤œাঞ্চল। মৌলভীবাজারে ছয় উপজেলায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় সড়ক বিভাগের ৬৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি  হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার।

কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।  জেলার সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি।  অনেক মানুষ ঘরে ফিরলেও তাদের ঘরে থাকার মতো এখনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। সেইসঙ্গে খাদ্যকষ্টে পড়েছে বানভাসি মানুষ। এখনো চর-দ¦ীপচরের চারণভূমিগুলো পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে গবাদিপশুর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

এ দিকে শহরের ৫টি আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।  জেলার ৪০৫টি চরে ২৫৯টি চরে মানুষ বাস করে। এসব এলাকার মানুষজন পুরোপুরি কৃষি কাজ আর শ্রমের ওপর নির্ভরশীল। অনেকেই চিনা, তিল কাউন ভুট্টা আবাদ করেছিলেন। দীর্ঘ সময় এসব খেত পানির নিচে থাকতে থাকতে অধিকাংশ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। চরম বিপর্যয়ে পড়েছে চর-দ্বীপচরের কৃষকরা। পানি কমে গেলেও তাদের কোনো আর আবাদ নেই । জেলায় এবার ৭ হাজার ৩শ’ ৫০ মেট্রিক টন ফসল পানির নিচে তলিয়ে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১৯ সে. মি ও দুধকুমার নদের পানি বিপদৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৫শ’ ৮৭ মেট্রিক টন চাল ৩৫ লাখ টাকা, ২৪ হাজার ৩৬০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। 
নীলফামারী ॥ রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধিতে বিকেল ৩টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। শুক্রবার ওই সময়  দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল পানি। এতে পানি বৃদ্ধি পায় দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার। ইতোমধ্যে উপজেলার প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে মানসা ও মরাসতী নদীর পানি কাউনিয়ার তিস্তায় মিলিত হওয়ায় সেখানে পানি বৃদ্ধি পায়। কাউনিয়ার গদাই গ্রামটি তিস্তা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। নদী ভাঙতে ভাঙতে বসতভিটার  তীরে এসে ঠেকেছে। স্থানীয় মানুষজন ও পাউবো জিও বালির বস্তা ও বাঁশের পাইলিং দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে।
অপরদিকে নীলফামারীর ডালিয়ায় সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে শনিবার বিকেল ৩টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। শনিবার ওই সময় পানি প্রবাহ ছিল বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার নিচে। সেখানে এক সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায়। 
তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার ১১টি চরাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে বালাপাড়া ও ঢেপামধুপুর ইউনিয়নের বন্যাকবলিত গ্রামগুলোর অনেক বাসিন্দা তাদের পরিবার ও গবাদি পশু নিয়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। কাউনিয়া উপজেলার হরিশচর গ্রামের কামাল হোসেন জানান, আকস্মিক এই বন্যায় তার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফসলের জমিরও। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা জানান, তিস্তার পানি উজানের ঢলে কখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে কখনো কমছে। তিস্তা ব্যারোজর ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে।
টাঙ্গাইল ॥ উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বর্ষণে টাঙ্গাইল সদর ও ভূঞাপুরে যমুনা নদীর চরাঞ্চলে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ কমছেই না। বন্যার ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন বানভাসি মানুষ। দেখা দিয়েছে নিরাপদ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, গোখাদ্য ও নিরাপদ স্যানিটেশন। শিশুদের ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে। বানভাসিদের ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় পানিবন্দি মানুষগুলো কেউ উঁচু জায়গা, কেউ বা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এদিকে, টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি কমলেও শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমারার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ ছাড়া জেলার ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকলেও জেলার অন্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার অন্যান্য ছোট নদ নদীতেও পানি বাড়ছে।
সরেজমিন ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল কালিপুর, জয়পুর, পুংলীপাড়া, রেহাইগাবসারা, চন্ডিপুর, মেঘারপটল, রাজাপুর, অর্জুনা ইউনিয়নের শুশুয়া, বাসুদেবকোল, ভদ্রশিমুলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কয়েকদিন ধরে একটু একটু করে পানি কমছিল। কিন্তু শনিবার ফের নতুন করে কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলেও কমছে ধীরে ধীরে। ফলে এখনো চরের শত শত ঘরবাড়ি পানিতে ভাসছে ও তলিয়ে রয়েছে।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। চরের লোকজন তাদের গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। চরের পানিবন্দি ঘরবাড়িতে টিউবওয়েল, স্যানিটেশন, রান্নাঘর তলিয়ে রয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে পানি সরবরাহ করে প্রয়োজনীয় কাজ করছেন বানভাসি মানুষগুলো। কিছু কিছু এলাকায় ত্রাণ পেলেও এখনো অসংখ্য পরিবার ত্রাণ সামগ্রী সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগও করছেন।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে চরাঞ্চলসহ ৪টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ও জেলা প্রশাসকের দিক-নির্দেশনায় দেড় হাজারের অধিক দরিদ্র মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পানি মজুত রাখার পাত্র বিতরণ করা হয়েছ। এসব ত্রাণসামগ্রী পর্যাপ্ত রয়েছে। ত্রাণ সহায়তা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ সকল ধরণের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
রাজশাহী ॥ ভারি বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে রাজশাহীর বাগমারার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কৃষকের সবজি ক্ষেত ও বিলের  ধান খেত তলিয়ে গেছে।  অনেক কৃষকের মরিচের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে। 
উপজেলা কৃষি অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত উজানের ঢলে আত্রাইয়ের শাখা নদী বাগমারার ফকিরানী ও বারনই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে হাঠাৎ বন্যার পানি বাড়ায় নদী সংলগ্ন বিলগুলো পানিতে ভরে উঠেছে। 
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, যে হারে নদীর পানি বেড়েছে, তাতে এই বন্যায় বিলগুলো প্লাবিত হওয়া শুরু হয়েছে। তবে নদী খনন করার কারণে বন্যার তীব্র আকার ধারণ করছে না। তাদের মতে, এবার ফকিরানী ও বারনই নদীর প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার খনন করার কারণে নদীর তীরবর্তী এলাকা বিলগুলো প্লাবিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে বাগমারার বেশ কিছু এলাকার প্লাবিত হওয়ার কারণে অনেক কৃষক বিপাকে পড়েছে। 
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল রাজ্জাক জানান, বাগমারায় বন্যার বিপজ্জনক পরিস্থিতি এখনো আসেনি। আমরা কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজীব আল রানা জানান, বন্যাসহ যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুবুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি।
 মৌলভীবাজার ॥ জেলার ৬ উপজেলায় এবারের দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় সড়ক বিভাগের ৬৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ বছর লাগাতার বন্যায় মৌলভীবাজারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২০ কি. মি. সড়ক আংশিক বা সম্পূর্ণ, পাহাড় আছড়ে ও পানিতে তলিয়ে গিয়ে প্রায় ৬৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর লাগাতার বৃষ্টিতে জেলার ১৭টি সড়কের সড়কের মধ্যে ৯টি সড়কের বিভিন্ন জায়গা তলিয়ে গেছে। আর নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের সড়ক তলিয়ে গেছে। আর এই তলিয়ে যাওয়া সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করায় আরও ধেবে যাচ্ছে সওজের বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলো।
সরেজমিন আরও দেখা যায়, সড়ক বিভাগের অধীনে থাকা রাজনগর-কুলাউড়া,-জুড়ি-বড়লেখা-বিয়ানীবাজার-শেওলাচারখাই সড়কের ৭.৮শ কি. মি. , জুড়ী-লাঠিটিলা সড়কের ২.২শ কি. মি., জুড়ী-ফুলতলা-বটুলী সড়কের ৫.৮শ’ কি. মি., মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলা চেকপোস্ট সড়কের শূন্য দশমিক ৪শ’ কি. মি., কুলাউড়া-শমসেরনগর-শ্রীমঙ্গল সড়কের শূন্য দশমিক ২৫০ কি. মি., শাহবাজপুর-জলঢুপ সড়কের শুণ্য দশমিক ৫শ’ কি. মি., বড়লেখা-শাহবাজপুর-লাতু সড়কের শূন্য দশমিক ২শ’ কি মি., হামরকোনা এন-২০৭ পুরনো এলাইনমেন্ট সড়কের শূন্য দশমিক ৮৫০ কি. মি., জুড়ী (ক্লিবডন চা বাগান)-কুলাউড়া (গাজীপুর) সড়কের ২.৫শ’ কি. মি. সহ মোট ২০ দশমিক ৫শ’ কিলোমিটার সড়কের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 
এদিকে মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, তাদের সড়কের ওই স্থানগুলো দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে প্রতিনিয়ত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে দাড়িয়েছে। জলের নিচে তলিয়ে যাওয়া সড়কের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এখনো পরিপূর্ণভাবে বলা যাচ্ছে না। বন্যার পানি সম্পূর্ণ কমে গেলে পুরো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। সড়কের বহু জায়গা নিচু থাকায় বন্যাক্রান্ত হচ্ছে বেশি। ওই জয়গাগুলো উচু করে ভরাটসহ সংস্কার করতে হবে। এর আগেও ঘর্ণিঝড় রেমালের তা-বে তাদের ২৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হলেও ফের লাগাতার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার হামিদ বলেন, জেলাজুড়ে আমাদের ৩৭৬ কি. মি. সড়ক রয়েছে। সওজের ৯টি সড়কের প্রায় ২০ কি. মি. সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সড়কে স্বল্প মেয়াদি সংস্কার কাজ করলে ৯ কোটি ৪০ লাখ ও দীর্ঘ মেয়াদি কাজ করা হলে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ হবে। পানি নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের কাজের প্রস্তাব পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে এরই আলোকে কাজ করা হবে।

×