বন্যায় তলিয়ে গেছে বাড়িঘর। ছবি: জনকণ্ঠ।
গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। পানি কমলেও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ এখনো রয়েছে। এসব এলাকায় শুকনা খাবার, শিশু খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব।
গাইবান্ধা পাউবো সূত্র জানায়, শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২৫ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শহরের নিউ ব্রিজ পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে হটাৎ করে আবার তিস্তা ও করতোয়ার পানি বেড়েছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা ৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। করতোয়ার পানি বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন,‘সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্রর নদের পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাকি সব নদের পানি বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধের কিছু জায়গায় ধ্বসের (রেইন কাট) সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুতই সেগুলো মেরামত করা হবে।’
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজি নাহিদ রসুল বলেন, ‘চার উপজেলার প্রায় ৩৬ হাজার পরিবার এখনো পানিবন্দি রয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ১৮১টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা কবলিতদের মাঝে শুকনা খাবার, শিশু খাদ্য ও গবাদি পশুর জন্য ওষুধ ও খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অসহায় কর্মজীবী মানুষের জন্য নগদ ১৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কোনো এলাকায় যদি এসব সহায়তা না পৌঁছায় তাহলে আমাদেরকে জানাবেন।’
এম হাসান