ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

নারী ইউপি সদস্যের রাইস মিল থেকে সরকারি সার 

স্টাফ রিপোর্টের,  বাগেরহাট

প্রকাশিত: ০৯:৫১, ১৩ জুলাই ২০২৪

নারী ইউপি সদস্যের রাইস মিল থেকে সরকারি সার 

উদ্ধারকৃত সার

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ (৭,৮,৯) নঙ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রিনা বেগমের রাইস মিল থেকে ৫ বস্তা সরকারি সার উদ্ধার করা হয়েছে। (১২ জুলাই) স্থানীয়দের সহায়তায় গজালিয়ার লড়ারহাট বাজারের ওই রাইস সার উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়। 

পরে যেসব কৃষকদের নামে বরাদ্ধ ছিল, তাদেরকে ডেকে সার বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে স্থানীয়দের দাবি ও্ই নারী ইউপি সদস্যের স্বামী হায়বাত শেখ এই সার বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন।

লড়ারহাট বাজারের সার বিক্রেতা মাসুদুল আলম বলেন, সকালে এসে দেখি দোকানের সামনে ৫ বস্তা সরকারি সার দেখতে পাই। পরে জানতে পারি নারী ইউপি সদস্য রিনা বেগমের স্বামী হায়বাত শেখ বিক্রি করার জন্য এই সার আমার দোকানের সামনে এনে রেখেছেন। সরকারি কিনব না বলে, আমি হায়বাতের রাইস মিলে পাঠিয়ে দিয়েছি।

মোঃ হাসান নামের এক ব্যক্তি বলেন, হায়বাতের রাইস মিলে সার দেখে, স্থানীয় লোকজন নিয়ে আমরা সবাইকে খবর দেই। পরে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি সাহা এসে সারগুলো নিয়ে ইউনিয়ন পরিষষদে চলে যায়। মূলত এই সার স্থানীয়ভাবে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন মেম্বর। কিন্তু লোকজনে জানাজানি হওয়ায় এখন যাদের সার তাদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর সাথে কৃষি কর্মকর্তাগণও যুক্ত থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় এই বাসিন্দা্।

নারী ইউপি সদস্য রিনা বেগম বলেন, কৃষকদের দেওয়ার জন্য কয়েকদিন আগে কৃষি অফিস থেকে সারগুলো আনা হয়েছিল, কিছু কৃষককে দেওয়া হয়েছে।হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকার কারণে ৭ জন কৃষকের দিতে পারিনি। ভেবেছি পরে দিয়ে দিব। কৃষি কর্মকর্তা ও ও চেয়ারম্যান সাহেব বিষয়টি জানেন। তারাই আজকে সারগুলো কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছেন। কিন্তু কিছু লোক মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।

গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি সাহা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সামনে সারগুলো কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

কৃষকদের সার কেন নারী ইউপি সদস্যের বাড়িতে কেন এমন প্রশ্ন করলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি এই কৃষি কর্মকর্তা। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে এড়িয়ে যান তিনি।

বাগেরহাটের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ফখরুল আহসান বলেন, সার জব্দের বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

এসআর

×