.
ঈশ্বরদী থেকে ইপিজেড হয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প, পাকশী লালনশাহ সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত সড়কের রেলওয়ে গেট থেকে তালতলা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার পৌর এলাকার অংশে এবং রূপপুর টানেল থেকে লালনশাহ সেতুর টোল প্লাজার গোলচত্বর পর্যন্ত বড় বড় গর্ত, খানাখন্দের সৃষ্টি ও পানি জমে বেহাল। এসব স্থানে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভোগান্তিতে পড়েছে সাঁড়া গোপালপুর, যুক্তিতলা, বাঘইলবাসীসহ ইপিজেড, পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় অফিস ও রূপপুর পরমাণু প্রকল্পের সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত দেশী-বিদেশী কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া ও লালপুর বাঘা এলাকা থেকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন। গত সাত বছরেও সড়কটির সংস্কার না করায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।
ঈশ্বরদী রেলগেট থেকে তালতলা হয়ে লালনশাহ সেতু সড়কটি ঈশ^রদী পৌর এলাকা ও পাকশী ইউনিয়ন এলাকার অন্যতম সড়ক। এই সড়কের রেলগেট থেকে তালতলা পর্যন্ত অংশ এবং রূপপুর টানেল থেকে লালনশাহ সেতুর টোল প্লাজার চলাচলের অযোগ্য অংশে সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যায় এক হাঁটুপানি। বর্তমানে সড়কটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। প্রায় প্রতিদিনই রিক্সা, অটোবাইক, ইপিজেডের শ্রমিকবাহী নছিমন-করিমন, অটো ও মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহনে দুর্ঘটনা ঘটছে।
ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীসহ যাবাহন চালকদের। বিশেষ করে এই সড়ক রোগী বহণকারী যানবাহন চলাচলে একেবারেই অনুপযোগী। ঈশ^রদী পৌর মেয়র ইসাহক আলী মালিথা বলেন, ঈশ^রদী ইপিজেড, পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় অফিস, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত দেশী-বিদেশী যারা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন তাদের সঙ্গে স্থানীয় ও দূরবর্তী এলাকা থেকে আগতদের সুবিধা সৃষ্টি হবে শীঘ্রই। আগামী ১৬ জুলাই একনেক সভায় সড়ক উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পটি পাস করা হলেই সড়কটি কংক্রিটের ঢালাইয়ের মাধ্যমে নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে জনগণের চলাচলের সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।