সুরমা নদী।
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আজ শুক্রবার বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। গতকাল যা ছিল ১০ সেন্টিমিটার নিচে। ছাতক পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপরে এবং দিরাই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে যাদুকাঁটা নদীর পানি ৫৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আজ বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। ফলে জেলায় আবারও নদীর তীরের অধিবাসীরা বন্যা কবলিত হয়ে পরেছেন। নদী তীরের অধিবাসীদের বাড়িঘরে নতুন করে আবারও পানি উঠেছে। নদীতীরবর্তী গ্রামের বাড়িঘরের বাসিন্দারা গত ৩ দিনের অব্যাহত বৃষ্টির কারণে আবারও দুর্ভোগে পরেছেন।
জেলার প্রধান নদ-নদী সুরমা, যাদুকাঁটা, রক্তি, বৌলাই, কুশিয়ারা, নলজুর, খাসিয়ামারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জেলার এইসব নিম্নাঞ্চলের অধিবাসীরা পরেছেন নতুন করে বিপাকে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্ট ১৫৫ মিলিমিটার ও লাউরেরগড়ে ২২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের উজানে অর্থাৎ ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যার ফলে পাহাড়ি ঢল অব্যাহত আছে।
বৃষ্টিপাত অতিমাত্রায় হওয়ায় ৩য় দফা বন্যার কবলে পারে সীমাহীন দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গেল দুই দফা বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই জেলার নিম্নাঞ্চলে আবারও বন্যা. সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান নদী সুরমার পানি গত ৩দিন পানি আবারও বেড়েছে শুক্রবার। বৃহস্পতিবার সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও আজ বিকেলে ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও জেলার জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর ও ধর্মপাশা উপজেলার নিম্নাঞ্চলে এখনো পানিবন্দী কয়েক হাজার মানুষ। নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে এই সব উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আবরিও অবনতি হয়েছে।
এসব এলাকার ঘরবাড়ি ৩য় বারের মতো পানি উঠায় দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।
একই অবস্থা জেলার অন্যন্য বানবাসি হাওরাঞ্চলের গ্রামের অধিবাসিদের। বেশীর ভাগ কাঁচা বাড়িঘরের ভিটের মাঠি হাওরের ঢেউয়ে ভেঙ্গে গেছে। ভেঙ্গে গেছে গ্রামীন কাঁচা সড়কগুলি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, পানি সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এসআর