ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

দেশের বৃহত্তম আন্ডারপাস, বিআরটি, এমআরটি ও থার্ডটার্মিনাল নির্মাণ হলে দূর হবে যানজটের ভোগান্তি

বিশাল কর্মযজ্ঞ ঘিরে কৌতূহল ॥ শাহজালাল বিমানবন্দর

আজাদ সুলায়মান

প্রকাশিত: ০০:০৬, ১২ জুলাই ২০২৪

বিশাল কর্মযজ্ঞ ঘিরে কৌতূহল ॥ শাহজালাল বিমানবন্দর

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণাধীন আন্ডারপাসের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে

এই মুহূর্তে রাজধানীর সবচেয়ে যানজটপূর্ণ ব্যস্ততম এলাকা হচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গোলচত্বর। এখানে চোখে পড়ে উন্নয়নের ব্যাপক কর্মকা-। শুধু থার্ড টার্মিনাল নয়,  চলছে আরও অন্তত ছয়টি মেগাপ্রকল্পের কাজ। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত প্রকল্প এখন দেশের বৃহত্তম আন্ডারপাস। দিবারাত্রি-সার্বক্ষণিক আন্ডারপাসের কাজ চোখে পড়ে। আরও আছে এমআরটি, বিআরটি। বর্তমানে সেতু কর্তৃপক্ষ দুটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও নির্মাণ করছে।

এর একটি বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এবং অন্যটি বিমানবন্দর থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ঢাকা ইপিজেড পর্যন্ত। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেল (ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট লাইন-১) বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ডেডিকেটেড বাস করিডর নির্মিত হচ্ছে, যা বিআরটি নামে পরিচিত। এখানেই শেষ নয়, টার্মিনাল-২ এর সামনের বাগানটিও ভেঙেচুুরে নতুন করে রাস্তা সম্প্রসারণ ও বিউটিফিকেশনের কাজও চলছে।

এতগুলো কাজের জনবল, যন্ত্রপাতি ও নির্মাণসামগ্রীর স্তূপে গোটা এলাকা যান ও মানুষ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে দীর্ঘ ছুটির দিনেও ঢাকার কোথাও যানজট না থাকলেও এখানে এসে থমকে দাঁড়াতে হয়। ঢাকায় প্রবেশ ও বের হতে এখানে এসে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। কখনো শ্লথ গতি, কখনো থমকে যাওয়া, কখনো আটকা দীর্ঘক্ষণ। এ জন্য এয়ারপোর্ট থেকে আগাম নোটিসও দেওয়া হচ্ছে- যাত্রীরা যেন হাতে প্রচুর সময় নিয়ে ঘর থেকে বের হন। 
এই প্রকল্প সম্পর্কে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান জনকণ্ঠকে বলেন, আগামী অক্টোবরে উদ্বোধন করা হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত থার্ড টার্মিনাল। যদিও পুরোদমে সেটা চালু হতে আরও কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে। তারপরও আংশিক উদ্বোধনের পরও যাত্রীর চাপ বাড়বে। থার্ড টার্মিনালকেন্দ্রিক কর্মব্যস্ততায় গোটা বিমানবন্দর এলাকায় বড় ধরনের যানজট ও মানুষের জটলা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশেষ করে ওই এলাকা এখন এমনিতেই কয়েকটি বড় প্রকল্পের জংশনে পরিণত হয়েছে। যেমন- বিআরটি, এমআরটি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ আরও কয়েকটি স্থাপনা। এতে করে মানুষের মনে একটা কৌতূহল দেখা দিচ্ছে, এসব প্রকল্প চালু হলে গোলচত্বর কতটা ব্যস্ততম পয়েন্টে পরিণত হতে পারে! এ ধরনের বাস্তবতা থেকেই জনগণের স্বার্থে এই এলাকাকে আরও উন্নত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নেওয়া হয়েছে এই আন্ডারপাস প্রকল্পটি। এটি দ্রুততম সময়েই শুরু ও শেষ করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীকেও আশ্বস্ত করা হয়েছে। এই আন্ডারপাস তৈরি করা হলে বদলে যাবে গোলচত্বরের পুরো দৃশ্যপট। 
এতগুলো প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও আলোচিত থার্ড টার্মিনালের কাজ প্রায় শেষ। অক্টোবরে উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে। এতদিন পথচারীদের নজর ছিল থার্ড টার্মিনালের ওপর। এখন সেই নজর গিয়ে পড়ছে আন্ডারপাসের ওপর। এটা এখনো দৃশ্যমান না হলেও গোলচত্বরের পূর্ব ও পশ্চিম পার্শ্বে চলছে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি, মালামাল আনা-নেওয়া ও যন্ত্রপাতির শব্দ। 
এটিই দেশের সবচেয়ে বড় আন্ডারপাস। প্রকল্প এলাকায় পুরোদমে কাজ চলছে। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮৩ কোটি ৯৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার টানেল নির্মাণে সর্বাধিক ৫৮৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং মাটি কাটা ও সেগুলো শক্তিশালী করতে ২২৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। এর পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে মেটানো হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মুহাম্মদ সাইফউদ্দিন বলেন, প্রকল্পের মূল কাজটি করছে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। জেপিজেড কনসাল্টিং (বাংলাদেশ) লিমিটেড এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করে। গত ডিসেম্বরে আন্ডারপাসের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে চলছে কাজের ধুম। 
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিমানবন্দরের সামনের নিত্যদিনের যানজট দূর হবে। যানজটের দৌরাত্ম্যে ফ্লাইট মিস হবে না যাত্রীদের। ওপরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও নিচে আন্ডারপাস দিয়ে দ্রুত বিমানবন্দরে পৌঁছাতে ও বেরোতে পারবেন যাত্রীরা। বিমানযাত্রীদের ঢাকা এয়ারপোর্টের কাছাকাছি পৌঁছালেই সরাসরি আন্ডারপাসে যেতে হবে। আবার বিদেশ থেকে এলেও বেরোতে হবে আন্ডারপাস দিয়ে। এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে সরাসরি আন্ডারপাস দিয়েই চলে যাওয়া যাবে রেলস্টেশন, হজক্যাম্প, বিআরটি, এমআরটি স্টেশন ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে।

আন্ডারপাস দিয়েই চলাচল করতে হবে ওই এলাকায়। যানজটের দুঃসহ যন্ত্রণা আর কখনোই যাত্রীদের ভোগাবে না। এটি বিমানবন্দর রেলস্টেশন, এমআরটি, বিআরটি, কাওলায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনালকে একসঙ্গে সংযুক্ত করবে। বিদেশ ফেরত ও বিদেশগামী যাত্রীরা হেঁটেই আন্ডারপাস ব্যবহার করে সহজে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন। হজযাত্রীরা হজক্যাম্প থেকে সহজে বিমানবন্দরে যেতে পারবেন। আবার যাত্রীরা রেলস্টেশনেও পৌঁছতে পারবেন কোনো ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই। ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকারীরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিমানবন্দরে ঢুকতে বা বেরোতে পাবেন। এমন সহজ ও নিরাপদ যাত্রার আন্ডারপাসের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে বিমানবন্দর এলাকায়।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত আন্ডারপাস নির্মাণের নির্দেশনা দেন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারিতে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয় পথচারী আন্ডারপাস অ্যালাইনমেন্ট চূড়ান্ত করতে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি পুনরায় পরিদর্শন করে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অ্যালাইনমেন্ট চূড়ান্ত করে। ২০১৯ সালের মার্চে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য ভূমি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। গত বছর আন্ডারপাসের নকশা প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হলে তিনি তাতে সম্মতি জানান। 
গত ডিসেম্বরে শুরু হয়েছে এই নির্মাণযজ্ঞ। দুই বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। এই আন্ডারপাসে ৯টি প্রবেশ ও বহির্গমন পথ থাকবে। এগুলো হচ্ছে- হজক্যাম্প, আশকোনা, বিমানবন্দর রেলওয়ে (বিআরটি) স্টেশন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-১, ২ ও ৩, বিমানবন্দর উত্তর গেট, দক্ষিণ গেট ও এমআরটি স্টেশন। 
বর্তমানে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ প্রায় ১৪ হাজার ৭৭৭ পথচারী ও যাত্রী এয়ারপোর্ট গোলচত্বরের একটি মাত্র ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে এই মহাসড়ক পারাপার হন। প্রস্তাবিত এলাকায় নতুন রেলওয়ে ট্র্যাক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই এর সঙ্গে যুক্ত হবে বিআরটি বাস সুবিধা। এ ছাড়া এমআরটি-১ এর বাস্তবায়ন হলে এ এলাকায় যাত্রীচাপ বাড়বে। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শেষ হলে প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী এ এলাকায় চলাচল করবে। এর একটি বড় অংশ আন্ডারপাসের সুবিধা নেবে। 
জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, ২০২৫ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে গাজীপুর হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত বিমানবন্দর সড়কে প্রতিনিয়ত তীব্র যানজট দেখা যায়। ফুটওভার ব্রিজ অপ্রতুল হওয়ায় বিপুলসংখ্যক যাত্রী ও পথচারী এর নিচ দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করে বলে এ জায়গায় প্রায়ই তীব্র যানজটে সৃষ্টি। ঘটে দুর্ঘটনা।

আন্ডারপাসটি তৈরি হলে যানজট ও দুর্ঘটনা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। আন্ডারপাসটি হবে শতভাগ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এতে থাকবে ৮টি লিফট, ২৮টি এসকেলেটর ও ২৫টি ট্রাভেলেটর। প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দেশের ৩২ জেলাকে সংযুক্ত করেছে। ব্যস্ততম এই মহাসড়কের এক পাশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বিপরীত পাশে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন। বাস্তবায়নাধীন বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, এমআরটি লাইন-১, ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে এবং বিআরটি প্রকল্পের চলমান কাজ এখন বিশাল কর্মযজ্ঞে পরিণত হয়েছে।

সব প্রকল্পের অপারেশন শুরু হলে বিমানবন্দর গোলচত্বর আরও ব্যস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ শেষ হলে যাত্রীদের বেশিরভাগ চাপ নিচে চলে যাবে। ওপরিভাগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ব্যবহারে যাত্রীদের স্বস্তি মিলবে। এমন স্বপ্নের আন্ডারপাস দেখার জন্য এখন পথচারীরাও উঁকি দিচ্ছেন। 
তবে দ্রুত অগ্রসরমান এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা। প্রকল্প এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, দেশের বৃহত্তম আন্ডারপাস নির্মাণকাজে কয়েকটি দোকানপাট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনার দরুন বিঘœ ঘটছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে বেবিচকের কাছে। এতে বলা হয়েছেÑ এই প্রকল্পের জন্য বেবিচকের ভূমি ব্যবহার করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যথাযথ অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।

দুই কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমোদন সাপেক্ষেই প্রকল্পের টানেলের অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী ড্রইং-ডিজাইন চূডান্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের হজক্যাম্প কেনোপি থেকে রেলওয়ে কেনোপির টানেলের অংশে বিদ্যমান স্থাপনাগুলো অপসারণে আপনাদেরকে (বেবিচক) এর আগেও চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিদ্যমান অবকাঠামোগুলো অপসারণ করা হযনি, যা প্রকল্পের চলমান কাজকে ব্যাহত করছে। বিদ্যমান স্থাপনাগুলো অপসারণ কিংবা পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ব্যয়ের বিস্তারিত বিবরণ জানাতে অনুরোধ করা হলেও তা ওই দপ্তর কর্তৃক গৃহীত হয়নি।

প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা আছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যমান স্থাপনাগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুনরায় বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। জানতে চাইলে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল আফরোজ বলেন, এটা সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এটা শেষ করার জন্য সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলেছেনÑ যেদিক দিয়েই আসুন, ঢাকা এয়ারপোর্টের কাছাকাছি পৌঁছলেই আপনাকে যেতে হবে সরাসরি আন্ডারপাসে (পাতাল পথ)। আপনাকে বিদেশে যেতে হলে অবশ্যই নামতে হবে নিচে। তারপর ওপরে উঠবেন। আবার বিদেশ থেকে এলেও নামতে হবে নিচে। এরপর উঠতে হবে ওপরে। ইচ্ছে করলেই এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে সরাসরি আন্ডারপাস দিয়েই চলে যেতে পারবেন রেলস্টেশন, হজক্যাম্প, বিআরটি, এমআরটি ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে।

আন্ডারপাস দিয়েই চলাচল করতে হবে ওই এলাকায়। যানজট নামক দুঃসহ যন্ত্রণা আর কখনোই আপনাকে পেয়ে বসবে না। এটি নির্মাণ হলে ওই এলাকায় যানজট ভোগান্তির অবসান ঘটবে। বিদেশ ফেরত ও বিদেশগামী যাত্রীরা ইচ্ছে করলে হেঁটে আন্ডারপাস ব্যবহার করে সহজে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন। হজযাত্রীরা হজক্যাম্প থেকে সহজে বিমানবন্দরে যেতে পারবেন। আবার যিনি চাইবেন তিনি রেলস্টেশনেও পৌঁছতে পারবেন কোনো ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই। সঙ্গে থাকছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চড়ার সুবিধা। এমন সহজ ও নিরাপদ যাত্রার আন্ডারপাস এখন আর কেবল স্বপ্ন নয়। 

আন্ডারপাসের পাশাপাশি চলছে বহুল আলোচিত মেগাপ্রকল্প থার্ড টার্মিনালের কাজ। এ সব প্রকল্প সম্পর্কে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক বলেন, ‘বিমানবন্দর এলাকাটি পরিবহনকেন্দ্রে পরিণত হবে। আন্ডারপাসটিতে এক মোড থেকে অন্য মোডে যাতায়াতের সুবিধা পাওয়া যাবে। সত্যিকার অর্থেই জনগণের অভাবনীয় সুবিধা হবে।

×