ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

চাটমোহরে বড়াল নদ দখলের মচ্ছব

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাটমোহর, পাবনা

প্রকাশিত: ২২:২৮, ১১ জুলাই ২০২৪

চাটমোহরে বড়াল নদ দখলের মচ্ছব

প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী বড়াল নদের বিভিন্ন অংশ দখল করেছে

দেশের অন্যতম বৃহৎ নদ বড়াল। রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মা থেকে শুরু হয়ে পাবনার বেড়ার হুরাসাগর হয়ে যমুনায় মিশেছে বড়াল। এক সময়ের প্রমত্ত বড়াল দখল আর দূষণের পাশাপাশি একাধিক ক্রস বাঁধের কারণে মৃত প্রায়। বড়ালকে বাঁচাতে শুরু হয় আন্দোলন। বড়াল রক্ষা আন্দোলন নামের স্বেচ্ছাসেবী পরিবেশবাদী সংগঠন বড়াল রক্ষায় মাঠে নামে।

এই আন্দোলনে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), রিভারাইন পিপলসসহ বিভিন্ন সংগঠন। সরকার এক সময় বড়াল নদের সকল ক্রস বাঁধ অপসারণ করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অংশ অপসারণ করা হয়। তৈরি হয় একাধিক ব্রিজ। চলতি বর্ষ মৌসুমে বড়ালে বর্ষার পানি ঢুকেছে। এই পানির মধ্যেও প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী নদের বিভিন্ন অংশ দখলে  মেতে উঠেছে। তৈরি করা হচ্ছে একাধিক স্থাপনা। অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল পাচ্ছেনা আন্দোলনকারীরা।
চাটমোহর পৌরসভার পুরাতন বাজারের অদূরে বড়াল নদে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে স্থাপনা  তৈরি করছেন উপজেলার ধরইল গ্রামের মনিরুল ইসলাম মনি নামের এক ব্যক্তি। অনেকটা জবর দখল করেই এই স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। চাটমোহর পৌরসভা থেকে এই স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না।
চাটমোহর নতুন বাজার খেয়াঘাট ও কুমারগাড়া এলাকায় একাধিক স্থাপনা তৈরি করা ছাড়াও রাতারাতি গড়ে তোলা হচ্ছে দোকানপাট। এ ছাড়া হরিপুর, ধুলাউড়ি, রামনগর, দোলং, বোঁথর, গুনাইগাছা, পৈলানপুর এলাকায় বড়াল নদ দখল করে নেওয়া হয়েছে। শুধু নদ দখলই নয়। এই বড়াল থেকে প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী  ড্রেজার লাগিয়ে বালু তুলেও বিক্রি করেছে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন করেও কোনো ফল পায়নি বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটি। 
বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব ও বাপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বড়াল রক্ষায় আন্দোলন করছি। দখল বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেদুয়ানুল হালিম এ বিষয়ে বললে, বড়াল নদের অবৈধ স্থাপনা তেরি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

×