ব্রক্ষ্মপুত্র নদের পানি কমছে। ছবি: জনকণ্ঠ
গাইবান্ধার সব নদ-নদীতেই কমতে শুরু করেছে পানি। তবেলেও এখনও রয়েছে বিপদসীমার ওপরে। ফলে বন্যা কবলিত নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকার বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষেরা ফিরছে বাড়িতে। তবে নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘর থেকে পানি নেমে যেতে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
অন্যদিকে পানি কমলেও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ এখনো রয়েছে। চলমান বন্যায় জেলার চার উপজেলার ৩২ ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তলিয়ে যায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমির পাট, আউশ ধান, শাকসবজি ও আমন বীজতলা।
চরাঞ্চলের বানবাসি ও আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়া মানুষের মধ্যে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে, বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও তিস্তা নদের তীরে চরাঞ্চলে নির্মিত ঘরবাড়ি পানির নিচে ডুবে রয়েছে। গবাদিপশু নিয়ে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, আজ দুপুর ৩টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৫সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১৬ সে. মি. কমে বিপৎসীমার ১৬ সে.মি. নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার ৮৯সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং তিস্তা নদীর পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এসআর