ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

খালের পেটে সড়ক, দুর্ভোগ পাঁচ গ্রামের মানুষের

সংবাদদাতা, কাপাসিয়া (গাজীপুর)

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ১০ জুলাই ২০২৪

খালের পেটে সড়ক, দুর্ভোগ পাঁচ গ্রামের মানুষের

পাকা সড়কটি ধসে গেছে। ছবি: জনকণ্ঠ

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের ঈদগাহ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন পাকা সড়ক ধসে খালে পড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে ৫ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে পাকা সড়কটি ধসে খালে পড়ে গেছে। 

ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের উত্তর খামের, সরশপুর, সৈয়দপুর, মাটি কাটা, আন্জাবো কড়িহাতা ইউনিয়নের যাতায়াতের প্রধান সড়কটিতে বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। 

স্থানীয়রা জানান, গ্রামের এই পাকা সড়কটি দিয়ে দুই ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ২ বছর আগে অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে ফাটল দেখা যায় ৪শ মিটার সড়কে। ফাটল ধরা অংশটি আর মেরামত না করায় এ বছর খালে ধসে পড়েছে। এতে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহালেও সড়কটি সংষ্কারের উদ্যোগ নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের। 

বুধবার (১০জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের এই সড়কটির খাল পাড়ের ৪শ' মিটার অংশের পুরোটাই চলে গেছে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধলাগড় খালের পেটে। আগে সব সময় এই রাস্তায় মিনি পিকআপ, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, রিকসা চললেও এখন বাই সাইকেল চালাতেও কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

এই সড়কে নিয়মিত সিএনজি চালক রহিম জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। আমাদের আয়ের অন্যতম উৎস ছিলো এই সড়কটি। সড়কটি খালে বিলীন হওয়ায় আমাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। 

স্থানীয় একাধিক ভুক্তভোগী জানান, সড়কটি পূর্বে কড়িহাতা ইউনিয়ন উত্তরে তরগাঁও ইউনিয়ন, পুর্বে ত্রিমোহনী বাজার, দক্ষিনে উত্তরখামের চৌরাস্তা বাজার, উত্তরে মিয়ার বাজার সংযুক্ত। এই এলাকায় তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ঈদগাহ উচ্চ বিদ্যালয়, ঈদগাহ  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরও যাওয়া আসার একমাত্র রাস্তা এটি। 

সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কোন নকশা ছাড়া অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে এই সড়কটি খালে ভেঙে পড়ে। এই সড়ক দিয়ে পাঁচ গ্রামের অন্তত ১২ হাজার মানুষের নিত্য যাতায়াত করে থাকে। 

ইউপি সদস্য ইলিয়াস হোসেন মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমি ইঞ্জিনিয়ার অফিসে জানিয়েছি।   

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খাঁন বলেন,এলজিইডি রাস্তাটি বিষয়ে অবগত। তবে অপরিকল্পিতভাবে খাল খননে রাস্তাটি ভেঙে খালের পেটে চলে যায়। জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এ বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। 

উপজেলা প্রকৌশলী মাইনউদ্দিন জানান,অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে রাস্তাটি ভেঙে পড়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি আগামী উন্নয়ন সভায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি তুলে ধরা হবে।
 

 

এসআর

×