ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

টানা সপ্তম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ঢাবি শিক্ষকরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ৯ জুলাই ২০২৪

টানা সপ্তম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ঢাবি শিক্ষকরা

টানা সপ্তম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতৃত্বে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে টানা সপ্তম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকেরা। এর ফলে অচলাবস্থা বিরাজ করছে ঢাবিতে। বন্ধ রয়েছে সকল বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় প্রত্যয় স্কিমকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে বক্তব্য প্রদান করে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা। 

অবস্থান কর্মসূতে সরকারকে উদ্দেশ্য করে ঢাবিশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের আন্দোলন করছে না। আমরা বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএচডি ডিগ্রি অর্জন করেছি। আমাদের সিভিগুলো ওজন করে দেখুন। পাল্লা কত ভারি হয়। ইচ্ছা করলে আমরা বাইরের দেশে থেকে যেতে পারতাম। ভাল স্যালারির জব করতে পারতাম। কিন্তু সেটা না করে জাতির স্বার্থে নিজেদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করছি।

আর আমাদের বলছেন স্বার্থপরতার আন্দোলন করছি। স্পষ্ট চিত্তে বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা নিঃস্বার্থভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমরা আপনাদের মতো বিলাসবহুল জীবন চাই না। আমাদের পাওনা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছি। অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নিন।

ঢাবিশিক্ষক সসভাপতি সভাপতি মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, প্রতয় স্কিম বাতিলের দাবিতে দেশের ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা শিক্ষক ফেডারেশনের আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করেছে। নায্য দাবি আদায়ে  আমাদের এই আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা করছে কূচক্রী গোষ্ঠী। অমুক তমুক দলের এজেন্ডা নিয়ে নাকি আমরা আন্দোলন করছি বলে বানোয়াট মন্তব্য করছে। সরকার আমাদের সঙ্গে  এখনো কোনো ধরনের সংলাপে আসেনি।
তিনি আরও বলেন, ৭১ এর পরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পাকিস্তানপন্থি আমলারা মিথ্যাচার করেছিল। সোভিয়েত ইউনিয়কে খ-, বিখ- করেছে আমলারা। বাংলাদেশের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা আমলাদের হাত দিয়েই ঘটে। বর্তমানে দেশকে বিপথে নেওয়ার  চেষ্টাও করছে এক শ্রেণির আমলা। আমরা আবারও সরকারকে বলতে চাই, কারও কথায় কান না দিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনের ব্যাপারে একটু ভাবুন। শিক্ষকদের সঙ্গে বসে আলোচনা-পর্যোলচনা করুন। নতুবা শিক্ষকেরা ক্লাসে ফিরবেন না।

×