ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

উল্লাপাড়ায় ব্রিজ নির্মাণ কাজে ধীরগতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৪১, ৯ জুলাই ২০২৪

উল্লাপাড়ায় ব্রিজ নির্মাণ কাজে ধীরগতি

উপজেলার বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নে ত্রিমোহনী ব্রিজ

উল্লাপাড়া উপজেলার বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নে ত্রিমোহনী নামক স্থানে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ ধীরগতিতে চলছে। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এতে দীর্ঘদিন ধরে কয়েক গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া নদীতে নৌযান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। 
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বলাইগাতী, রশ্নিপাড়া, শুকলাইহাট, বড় পাঙ্গাসী, চাকশা, হাওড়া, আাগগয়হাট্টা কোয়ালিবেড়সহ অন্যান্য গ্রামের মানুষ ত্রিমোহনী ঘাটে নৌকা আর বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করত। ব্রিজের অভাবে এ অঞ্চলের হাজারো মানুষের নিত্যদিনের ভোগান্তি ছিল ত্রিমোহনী ঘাটে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের অক্টোবরে ত্রিমোহনী ঘাটে প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন উল্লাপাড়ার সাবেক সংসদ সদস্য তানভির ইমাম।

জেভি কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রিজটির নির্মাণকাজ করে। দেড় বছরের মধ্যে ব্রিজটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও দুই বছর নয় মাসেও তা শেষ হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ে নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ার কারণ হিসেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকিতে উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসী বলছেন, কচ্ছপ গতিতে ব্রিজের নির্মাণকাজ চলছে। এভাবে কাজ চলতে থাকলে আরও পাঁচ বছরেও কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। 
স্থানীয় বাসিন্দা মজনু মিয়া বলেন, ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হলেও দুপাশের ভূমি অধিগ্রহণ হয়নি। আমরা জমির মালিকরা কোনো ক্ষতিপূরণ পাইনি। ভূমি অধিগ্রহণ ও দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানান তিনি। 
এ বিষয়ে এলজিইডির উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ বলেন, এটি আগের কাজ, তাই রেটের তারতম্য ঘটেছে, এ কারনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে গড়িমসি করছে। এ ছাড়াও নদীতে পানি থাকার কারণে কাজের বিঘœ ঘটছে বলে তিনি জানান।

×