ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

গাইবান্ধায়  ধীরগতিতে কমছে নদ-নদীর পানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ৯ জুলাই ২০২৪

গাইবান্ধায়  ধীরগতিতে কমছে নদ-নদীর পানি

বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ছবি: জনকণ্ঠ

গাইবান্ধার সব নদ-নদীতেই কমেছে বন্যার পানি। ফলে বন্যা কবলিত নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। নদী তীরবর্তী এলাকার বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষেরা ফিরছে বাড়িতে। তবে, পানি কমলেও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ এখনো রয়েছে।  

বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে।  বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের শুকনো খাবারের পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্যর সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

গাইবান্ধা পাউবো সূত্র থেকে জানা যায়,  মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তা, ঘাঘট ও করতোয়া নদের পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
  
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা, হরিপুর কঞ্চিবাড়ী ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে ঘুরে বন্যাকবলিত চরাঞ্চল ও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা মানুষদের দুর্ভোগের এমন চিত্র দেখা গেছে।  বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে। চরাঞ্চলের ঘরবাড়ি ডুবে আছে। অনেক টিনের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিশেষত চরাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট বেশি। অনেকে কোমরপানি ভেঙে, অনেকে নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় দূর থেকে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি সংগ্রহ করছেন।

কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনজু মিয়া  বলেন, পানি কমছে, তবে ধীরে ধীরে। চরাঞ্চলে সব নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বর্তমানে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ওই সব এলাকায় পানি ফুটিয়ে খেতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। তারাও কাজ করছে।

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক নাহিদ রসুল বলেন, জেলার চারটি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৩৯ হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। ১৮১টি আশ্রয়কেন্দ্রে বানভাসিরা অবস্থান করছে। বানভাসিদের মধ্যে শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।
 

 

এসআর

×