ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

প্রত্যয় স্কিম

ঢাবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি অব্যাহত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ৮ জুলাই ২০২৪

ঢাবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি অব্যাহত

পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে  সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। এর ফলে অচলাবস্থা বিরাজ করছে ঢাবিতে। বন্ধ রয়েছে সকল বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা। সোমবার অষ্টম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছে তারা। এদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা। 
অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ৩ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি মানার কোনো অবস্থা আমরা দেখছি না। আগেও বলেছি এখনো বলছি, আমাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত পিছু হটব না। বিজয় নিয়েই আমরা ক্লাসরুমে ফেরত যাব।
তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছেÑ প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। 
এদিকে, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুবিধা দিলে মানবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের দাবি প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার। দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা। এমনকি শিক্ষার্থীদের মতো অবরোধ কর্মসূচিও ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে তারা এ কথা জানান।

এ সময় ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন বলেন, অর্থমন্ত্রী কী বুঝে প্রত্যয় স্কিম সমর্থন করলেন, আমরা বুঝি না। অনেক খুজেঁও একটা ভালো দিক আমরা পাইনি। এ স্কিম কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আজকে আমাদের আন্দোলন যেমন হয়েছে, আগামীকাল সেটা আরও বড় হবে। ধীরে ধীরে আন্দোলনের পরিধি বাড়বে। আমাদের সঙ্গে ইতোমধ্যে আরও পাঁচটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়ে মোট ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় একাত্মতা ঘোষণা করেছে।
তিনি আরও বলেন, যদি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাদ দিয়ে শুধু শিক্ষকদের কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তা হলে আমরা মাঠ ছাড়ব না। যদি কোনো সুযোগ-সুবিধা দিতেই হয়, তা হলে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিতে হবে। কেউ পাবে কেউ পাবে না, তা হবে না।

×