ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

কলকাতায় হারানো ফোন চট্টগ্রামে উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশিত: ২২:২৪, ৮ জুলাই ২০২৪

কলকাতায় হারানো ফোন চট্টগ্রামে উদ্ধার

নিজের হারানো মোবাইল হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত কলকাতার তরুণী

ভারতের কলকাতায় হারানো একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে চট্টগ্রামের রেয়াজুদ্দিন বাজারে। শুধু তাই নয়, ফোনটির মালিকের কাছে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ভারতের ওই নাগরিক সিএমপিকে (চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ) জানিয়েছেন ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। একই সঙ্গে এই ফোন উদ্ধারের সঙ্গে উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। 
পুলিশ জানিয়েছে, ভারত থেকে চোরাই ফোন চট্টগ্রামের রেয়াজুদ্দিন বাজারে এসে বিক্রি করে একটি সিন্ডিকেট। একই চক্র বাংলাদেশ থেকে চোরাই মোবাইল ভারত ও ভুটানেও বিক্রি করে। সোমবার সিএমপির জনসংযোগ শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করে। 
তারা জানান, গত ৬ জুন মহানগরীর কোতোয়ালি থানাধীন নিউ মার্কেট এলাকার জলসা মার্কেটে অভিযান করে ভারতের কলকাতায় হারানো আইফোন ১৪ প্লাস মোবাইল উদ্ধার হয়। মোবাইলটি উদ্ধার হলেও ভারত থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসা ব্যবসা সিন্ডিকেটের হোতা কৌশলে পালিয়ে যায়। উদ্ধারের পর মোবাইলটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ফোনটি হারিয়ে দীপান্বিতা কলকাতার একটি থানায় জিডি করেছিলেন। এর কিছুদিন পর তার কাছে ইমেইল যায় যে, হারানো মোবাইলটি চট্টগ্রাম মহানগরীতে চালু হয়েছে। তখন তিনি সিএমপির অফিসিয়াল পেজে যোগাযোগ করে তার জিডি ও মোবাইলটি চালু করার লোকেশন পাঠান। মেসেজ পেয়ে সিএমপির জনসংযোগ শাখা থেকে তাকে আশ^স্ত করা হয় যে, মোবাইলটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করা হবে।

এরপর মোবাইলটি উদ্ধারের দায়িত্ব পড়ে মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর-পশ্চিম) বিভাগের ওপর। গোয়েন্দা বিভাগ মোবাইলটি উদ্ধার করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তার কাছে পৌঁছে দেয়। ফোন হাতে পেয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দ্বীপান্বিতা সরকার।
পুলিশ জানায়, হারানো মোবাইলটিতে কোনো সিম প্রবেশ না করানো সত্ত্বেও নানা কৌশলে গোয়েন্দা বিভাগের দলটি ৪ ব্যক্তিকে শনাক্ত করেন। তারা ভারত থেকে চোরাই পথে চোরাই মোবাইল এনে রেয়াজুদ্দিন বাজারের তামাকুম-ি লেনে দোকানদারদের কাছে পৌঁছে দেয় এবং নিজেরাও খুচরা বিক্রি করে। গোয়েন্দা পুলিশ এই সিন্ডিকেটের হোতাকে টার্গেট করেছে, বিষয়টি বুঝতে পেরে সে এক ব্যবসায়ী মারফত চোরাই মোবাইলটি ডিবির উপ-পরিদর্শক রবিউল ইসলামের কাছে পাঠিয়ে দেয়।

এরপর হোতা পালিয়ে যায়। এ সিন্ডিকেট ভারতের সব চোরাই মোবাইল চট্টগ্রামে পাঠায় এবং বাংলাদেশের চোরাই দামি মোবাইল ভারতে ও ভুটানে পাঠিয়ে থাকে। সিন্ডিকেট সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে নগর পুলিশ।

×