ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

পানিবন্দি ৪৮ হাজার পরিবার, বন্ধ ৩৫৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর 

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ৭ জুলাই ২০২৪

পানিবন্দি ৪৮ হাজার পরিবার, বন্ধ ৩৫৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

বন্যা

জামালপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি বন্যার্তদের। আগের দিনের তুলনায় রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যমুনা নদীর ১০ সেন্টিমিটার কমেছে। পানি কমলেও দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখনো পাঁচটি উপজেলার ৪৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। 

রাস্তা-ঘাট, বসতঘর, রান্নাঘর, টিউবওয়েল, শৌচাগার সবকিছুই তলিয়ে রয়েছে। নারী-শিশু ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে বন্যার্তরা। পানি প্রবেশ করায় জেলার ৩৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তার তথ্য মতে, জেলায় ৪০০ মেট্রিক টন চাল, ৬ লাখ টাকা ও ৪ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার পানি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করায় এ পর্যন্ত জেলায় ২৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৮৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

তবে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করেছে সেইসব প্রতিষ্ঠানে মূল্যায়ন পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সুযোগ-সুবিধা মতো পরবর্তীতে সেই পরীক্ষা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পানি কমলেও ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার বন্যার্ত মানুষের ঘর থেকে পানি নামেনি। দুর্ভোগ কমেনি মানুষের। 

এখনো তলিয়ে রয়েছে রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি, বীজতলা ও ফসলি জমি। অপরদিকে বন্যায় নারী-শিশু ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে বন্যার্ত পরিবারগুলো। পানিতে এখনো টিউবওয়েল, শৌচগার তলিয়ে রয়েছে। রান্না করে খাওয়া খাবারের, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পানি কিছুটা কমলেও দুর্ভোগ কমেনি বন্যার্তদের।  

এ সময় সরকারি সহয়তা খুবই জরুরি বলে জানান তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার অধিকাংশ সড়ক এখনো তলিয়ে রয়েছে। এসব অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পেড়েছে। এখনো গরু-ছাগল নিয়ে উঁচু সড়ক, আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ও রেলওয়ে স্টেশনে রয়েছে অনেক বন্যার্ত পরিবার। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, যমুনা নদীর পানিতে পাঁচটি উপজেলার নিচু এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। দুই লাক্ষাধিক  মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৮০ মেট্রিক টন চাল, ৪ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৬ লাখ নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার্ত মানুষেরা ঘরে না ফেরা পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অব্যাহত থাকবে। 

এ ছাড়াও আশ্রয়ণ কেন্দ্রে চিড়া, গুড়, মুড়ি ও খিচুড়ী রান্না করে বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। 

 

শহিদ

×