ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

‘আমি বউকে মারছি, বউ আমাকে মারছে’

প্রকাশিত: ১১:১৮, ৭ জুলাই ২০২৪

‘আমি বউকে মারছি, বউ আমাকে মারছে’

চিরকুট। ছবি: সংগৃহীত

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকা থেকে এক নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। 

ওই চিরকুটে লিখা ছিল, আমরা দুইজন ইচ্ছায় মরছি এইখানে কারো দোষ নাই। আমরা নিজের ইচ্ছায় মরছি। আমি আমার বউকে মারছি এবং বউ আমাকে মারছে। এইখানে বাড়ির কারো দোষ নাই।

স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে আশুলিয়া থানা পুলিশ পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার মিন্নত আলীর ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ওই নারী শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেন। প্রাথমিকভাবে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী পালিয়েছে জানায় পুলিশ। 

নিহত ওই নারী শ্রমিকের নাম জাহানারা খাতুন জান্নাতি (২৫)। তিনি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামীর নাম হাবিবুর রহমান অনিক। তার বাড়ি পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার দিঘুলিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায়। 

তারা আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার মিন্নত আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে পার্শ্ববর্তী শারমিন গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

থানা পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার মিন্নত আলীর ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষে ওই নারী শ্রমিকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দেয় প্রতিবেশীরা। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিছানায় পড়ে থাকা অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেলেও ঘরের দরজা বাহির থেকে লাগানো ছিল।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবজালুল হক জানান, নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ বিছানায় ফেলে রেখে যেতে পারে। যেহেতু মুখে ফেনা ছিল, সে ক্ষেত্রে বিষপানে আত্মহত্যাও হতে পারে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। চিরকুটে স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের মৃত্যুর কথা বলা হলেও শুধুমাত্র স্ত্রীর মরদেহ পাওয়া গেছে, স্বামীকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।

 

 এসআর

×