ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট  এলাকা

পদ্মার তীব্র ভাঙন

প্রকাশিত: ২১:১০, ৫ জুলাই ২০২৪

পদ্মার তীব্র ভাঙন

দৌলদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মার ভাঙনে গৃহহীন হচ্ছেন মানুষ

জেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নদী ভাঙনে গৃহহীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ভাঙন আতঙ্কে তিন শতাধিক পরিবার, শতাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

শুক্রবার নদী ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা যায় এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১ ও ২নং ফেরিঘাটের মাঝে এবং ৬ ও ৭নং ফেরিঘাটের মাঝে নদী ভাঙনে ১৫টি পরিবারের বসতবাড়ি নদীতে চলে যায়। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে শতাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, ৩শতাধিক বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদ। এক মাস যাবৎ নদী ভাঙন শুরু হলেও খোঁজ নেই রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের। বিআইডব্লিউটিএ ঘাট রক্ষার্থে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে গুরুদায়িত্ব পালন করে। দৌলতদিয়া ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য উজ্জল হোসেন বাবু বলেন, কিছু বলার ভাষা নেই। আমার নিজের বাড়িও নদী ভাঙনের কবলে। এক মাস পূর্ব থেকে নদী ভাঙন শুরু হলেও ভাঙন রোধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত কোনো সদস্য ভাঙন এলাকা ঘুরে যায়নি। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ হতাশ।

বারেক মৃধা নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, নদীপাড়ে আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি। ভাঙন রোধ না হলে যে কোনো মুহূর্তে আমার প্রতিষ্ঠান নদীতে চলে যাবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, দৌলতদিয়া  ফেরিঘাট এলাকায় নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, ভাঙনরোধে যে পরিমাণ জিও ব্যাগ ফেলা প্রয়োজন সে তুলনায়  দৌলতদিয়া ঘাটে কিছু হচ্ছে না।  গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘুমিয়ে রয়েছে। এক মাস যাবৎ নদী ভাঙন শুরু হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। শুধু বিআইডব্লিউটিএ লোক দেখানো দায়িত্ব পালন করছে। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেখা মিলছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা এটা প্রত্যাশা করি না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সহকারী প্রকৌশলী  সহিদুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটগুলো সচল রাখার জন্য ভাঙন রোধে কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। তবে সেটা খুবই কম। তিনি বলেন, ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন রোধ করতে আরও বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা লাগবে।

×