ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১

দৌলতখান বামনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনটেন্যান্সের টাকা প্রধান শিক্ষিকার পকেটে

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতখান, ভোলা

প্রকাশিত: ২০:১৫, ৪ জুলাই ২০২৪

বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনটেন্যান্সের টাকা প্রধান শিক্ষিকার পকেটে

বিদ্যালয়

ভোলার দৌলতখানে ৫৪ নং বামনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনটেন্যান্স বা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দের কাজ না করিয়ে প্রধান শিক্ষিকার ব্যাংক একাউন্টে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

বিদ্যালয়ের প্রতি শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে পরিপাটি করতে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় ওই বিদ্যালয়ের পরিপাটির কাজ গত ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। কিন্ত প্রধান শিক্ষিকা কানিছ ফাতেমা কাজ না করে তার একাউন্টে টাকা রাখায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

জানা যায়, এই টাকায় বিদ্যালয়ের কাচ, হাতল, লক, ফ্যানের সুইচ, রেগুলেটর, লাইট সহ খুঁটিনাটি কাজ করা যাবে। 

সরেজমিন গেলে দেখা যায়, পরিপাটি বিদ্যালয়ের দ্বিতল পাকা ভবনের নিচের কক্ষে প্রধান শিক্ষিকা কানিছ ফাতেমা সহ পাচঁজন সহকারি শিক্ষিকা মৌসুমী ফল আম খাচ্ছেন। জান্নাতুল ফেরদাউস নামে এক সহকারি শিক্ষিকা ছুটিতে আছেন। গুটি কয়েক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের আঙিনায় ছুটাছুটি করছেন। বিদ্যালয়ের কক্ষ রয়েছে শিক্ষার্থী শূন্য। 

পাঠদানে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, এখনও শিক্ষকরা তাদের কোন ক্লাস নেননি।

রুটিন মেইনটেন্যান্সের কাজ সম্পূর্কে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা কানিছ ফাতেমা জানান, ৪০ হাজার টাকা তার ব্যাংক একাউন্টে আছে। দুই মাস ট্রেনিং ও বিদ্যালয় বন্ধের কারণে কোন কাজ করাতে পারেননি।

শিক্ষার্থী কম থাকার বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, নদী ভাঙন, দারিদ্রতা, আশপাঁশে অনেক মাদ্রাসা থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়েছে। সহকারি শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদাউস ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে তার কাছে মৌখিক ছুটি নিয়েছে। 

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী আকবর সবুর জানান, প্রধান শিক্ষিকা কানিছ ফাতেমা বিদ্যালয়ের কাজ যেটা প্রয়োজন-সেটা করেন তিনি। আমাকে জানালে আমি সেটা গিয়ে দেখি। তবে বিদ্যালয়ে রুটিন মেইনটেন্যান্সের কাজ আসছে শুনেছি। ব্যস্থতার জন্য পরিদর্শন করতে পারেনি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৌহিদুল ইসলাম জানান, ৫৪ নং বামনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনটেন্যান্সের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা যদি কাজ না করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদাউস ছুটির বিষয়ে অবগত নন তিনি।
 

 

এসআর

×