সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ছবি: জনকণ্ঠ
জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বর্ষণে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে দুটি সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা বিভাগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর পানি বাড়তে থাকায় জামালপুরের সরিষাবাড়ী, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এই চারটি উপজেলার বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আউশ ধান ও পাটসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষেতে পানি উঠেছে। বন্যার পানির তোড়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের কাঠারবিল এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী-রাজিবপুর সড়কে নির্মাণাধীন মহারানী সেতুর স্থানে বিকল্প রাস্তা ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এছাড়া দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানি ইউনিয়নের ডাকাতিয়াপাড়া এলাকায় একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে যাওয়ায় যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। বন্যার পানিতে সয়লাব হয়ে যাওয়ায় ইসলামপুর উপজেলায় ২৩টি ও মেলান্দহ উপজেলায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরো কয়েকদিন কিছুটা পানি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। যমুনা পাড়ের বিভিন্ন স্থানের বাধগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এসআর