বান্দরবানে বেনজিরের আহমেদের আলিশান বাংলো। ছবি: জনকণ্ঠ
বান্দরবান সদরের সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকায় পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজিরের আহমেদের বাগানবাড়ি, গরু ও মৎস্য খামার তত্ত্বাবধানে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসব সম্পদের আনুমানিক মূল্য ৩০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি টিম সেখানে গিয়ে সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নেওয়ার পর সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন। এছাড়া বেনজিরের সেই আলিশান বাগানবাড়িতেও তালা লাগিয়ে দেন কর্মকর্তারা।জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশনার পর বেনজির আহমেদের সম্পত্তিগুলো তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে। এসব সম্পত্তি থেকে যা আয় হবে তা সরকারের কোষাগারে জমা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি টিম বেনজির আহমেদের কথিত ম্যানেজার এবং আলিশান বাগানবাড়ি, জমি ও গরুর খামার দেখভালের দায়িত্বে থাকা বান্দরবান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মং ওয়াই চিং মারমা বেনজির আহমেদের সম্পত্তি গুলো তার নিজের বলে দাবি করলেও জেলা প্রশাসন কর্তৃক সম্পত্তি গুলো তত্বাবধানে নেওয়ার কথা শুনে আত্মগোপনে চলে গছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তার বিরেুদ্ধে সেই খামার থেকে বেনজির আহমেদের ৮৪টি গরু সরিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের সম্পত্তি দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক খুঁজে বের করার পর বান্দরবানেও বিশাল সম্পত্তির খোঁজ মেলে। বান্দরবানের সুয়ালকে ৫০ একর ও লামায় প্রায় ১০০ একর সম্পত্তির রয়েছে বলে স্থানীয় অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন সুয়ালকে ২৫ একর সম্পত্তির নথি খুঁজে পায়। বৃহস্পতিবার এসব সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসন।
এসআর