ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৭ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১

মিয়ানমারে মর্টার শেল ও গ্রেনেডের বিকট শব্দে কাপছে সীমান্ত এলাকা

মুহাম্মদ হানিফ আজাদ, উখিয়া কক্সবাজার  

প্রকাশিত: ১১:৫০, ৪ জুলাই ২০২৪; আপডেট: ১৭:৩০, ৪ জুলাই ২০২৪

মিয়ানমারে মর্টার শেল ও গ্রেনেডের বিকট শব্দে কাপছে সীমান্ত এলাকা

টানা পাঁচ দিন বন্ধের পর আবার বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপল কক্সবাজারের টেকনাফ।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের জেরে টানা পাঁচ দিন বন্ধের পর আবার বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপল কক্সবাজারের টেকনাফ।রাখাইনের মংডু টাউনশিপের আশপাশের গ্রাম থেকে বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে থেমে থেমে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পায় টেকনাফের বাসিন্দারা। নাফ নদের তীরে টেকনাফ পৌরসভা, সদর, সাবরাং ইউনিয়নের বাসিন্দারা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায়। 

বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মিয়ানমারে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ সীমান্ত এলাকায় বসবাস করে লোকজন শুনতে পেয়েছে আতংকে রয়েছে সীমান্ত এলাকার বসবাস কারির লোকজন। 

এরে আগে শুক্রবার দুপুর ১টার পর থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ধরে বিস্ফোরণের কোনো শব্দ শোনা যায়নি। টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান ও সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, গত টানা পাঁচ দিন সীমান্তে মানুষ শান্তিতে ছিল। ওই সময় কোনো ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। বুধবার থেকে ক্রমাগত মর্টার শেল ও ভারী গোলার শব্দ শোনা যাচ্ছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরের পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন শান্তিতে ছিলেন সীমান্তের লোকজন। এ সময় তারা কোনো ধরনের বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পায়নি। তবে বুধবার সকাল থেকে হঠাৎ বিকট শব্দে বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। প্রথমে সবাই মনে করেছিল ভূমিকম্প হচ্ছে। যেভাবে বাড়িঘর কেঁপেছে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে।’

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্ত এলাকার লোকজনের মতে, মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের যে এলাকায় বর্তমানে হামলা হচ্ছে, সেখানে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিকের বসবাস। মংডু টাউনশিপের আশপাশের এলাকায় নতুন করে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এমন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে সম্ভাব্য রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে কোস্ট গার্ড ও বিজিবি। নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে ঠাঁই দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘টানা পাঁচ দিন কোনো ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। আবারও বিকট শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে।

তাসমিম

×