ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১

চুকনগরে নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সুপার মার্কেট

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস

প্রকাশিত: ২১:১৭, ৩ জুলাই ২০২৪

চুকনগরে নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সুপার মার্কেট

ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত জমির ওপর নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সুপার মার্কেট

ডুমুরিয়া উপজেলার অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র চুকনগরে জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত ৫৬ শতক জমির ওপর নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সুপার মার্কেট। এতে সুফল ভোগ করবে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। খুলনার প্রবেশদ্বার নামে খ্যাত চুকনগর বাজার সংলগ্ন বুড়ি ভদ্রা নদীর পাড়ে যতীন কাশেম রোডের সংযোগস্থলে হচ্ছে মার্কেটটি। যে জায়গাটি পুরনো ডাকবাংলো নামে পরিচিত।

ব্যবসায়ীরা জানায় বাণিজ্যিকভাবে অনেক সুফল পাবে তিন জেলার মানুষ। তাদের বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা করার জন্য জেলা শহর খুলনা, সাতক্ষীরা কিংবা যশোরে যাওয়া লাগবে না। এক ছাতার নিচে মোট ১২৬টি দোকান ঘরে পাওয়া যাবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। অপরদিকে সরকার পাবে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব।
চুকনগর বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে চুকনগর বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিতে গেলে ২০/২৫ লাখ টাকা জামানত দিতে হয়। আর ভাড়া দিতে হয় প্রতি মাসে ১৫/২০ হাজার টাকা। তারপরও দোকান বন্ধ করে রাতে শান্তিতে ঘুমানো যায় না। এখানে অধিকাংশ দোকানের চাল টিনশেড হওয়ায় বিভিন্ন সময় চুরির ঘটনা ঘটছে। ব্যবসায়ীরা আরও জানান, খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর এবং শিল্পাঞ্চল হিসেবে খ্যাত নওয়াপাড়ার সংযোগস্থল হওয়ায় বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে চুকনগরের সুনাম দীর্ঘদিনের।

আর দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলা বেনাপোল স্থল বন্দর ও ভোমরা স্থল বন্দরের সঙ্গেও অবাধ চলাচল ব্যবস্থার সুযোগ রয়েছে। বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সরদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারের ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে খুলনা জেলা পরিষদ চুকনগর বাজারে একটি দৃষ্টিনন্দন মার্কেট নির্মাণ করছে। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সুপার মার্কেট হওয়ায় চুকনগর বাজারের ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের সুফল ভোগ করবে।

জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, জেলা পরিষদের জায়গাটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ছিল। এখানে মানুষ আবর্জনা ফেলত। এতে ব্যবসায়ীরা দূর্গন্ধের কারণে ব্যবসা- বাণিজ্য করতে পারত না। সন্ধ্যার পর মাদকসেবীরা জড়ো হতো। তাই ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে আমরা সেখানে একটি আধুনিক মার্কেট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তা ছাড়া এই মার্কেট থেকে জেলা পরিষদ প্রতি বছর ২০/২৫ লাখ টাকা রাজস্ব পাবে। যা দিয়ে উন্নয়ন কাজ করা যাবে।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কেষ হারুনুর রশীদ বলেন, সৃষ্টিলগ্ন থেকে জেলা পরিষদ প্রকৃতি, পরিবেশ ও স্থানীয় মানুষের উন্নয়নে নানা কাজ করছে। এটি তারই একটি ধারাবাহিকতা। মার্কেটটি সম্পন্ন হলে সরকার যেমন রাজস্ব পাবে, তেমনি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।

×