ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

কমেছে ভোগাই-চেল্লাখালী নদীর পানি, তলিয়ে গেছে ২০ হেক্টর ধানের বীজতলা

সংবাদদাতা, নালিতাবাড়ী, শেরপুর 

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ৩ জুলাই ২০২৪

কমেছে ভোগাই-চেল্লাখালী নদীর পানি, তলিয়ে গেছে ২০ হেক্টর ধানের বীজতলা

বাঁধ ভেঙে ঢুকছে পানি। ছবি: জনকণ্ঠ

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার খরস্রোতা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করেছে। বুধবার (৩ জুলাই) সকালে ভোগাই নদীর ৮৬ সেন্টিমিটার ও চেল্লাখালী নদীর ৬১ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক (পদবি-পানি মাপার মিটার পরিমাপক) আলমগীর হোসেন ও মানিক মিয়া। 

এদিকে, পাহাড়ি ঢলের পানি কমলেও নদীর বেরিবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চলের ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সূত্র জানায়, ভোগাই নদীর গড়কান্দা মহল্লার নতুন বাসস্ট্যান্ড, খালভাঙ্গা, পালপাড়া, নিজপাড়া ও চেল্লাখালী নদীর সন্ন্যাসীভীটা এবং গোল্লারপাড় এলাকায় নদীতীর উচপে বেরিবাঁধ ভেঙে বাঘবেড়, কলসপাড়, নালিতাবাড়ী, যোগানিয়া ও মরিচপুরান ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৫টি গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওইসব পরিবার। 

অপরদিকে, গত তিন দিনের পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বানের পানিতে উপজেলার ২০ হেক্টর জমির আমন বীজতলা নিমজ্জিত হয়েছে। একই সঙ্গে ১০ হেক্টর জমির সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।

নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমরা ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন তৈরি করে ঊর্ধতন কতৃর্পক্ষের কাছে প্রেরণ করেছি। যদি বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে কম ক্ষতি হবে। সরকারি নির্দেশনা মতো উপজেলার কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করেছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম বন্যার্তদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি।

 

এসআর

×