ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

লোকবলের অভাবে কাজে আসছে না বিপুল সম্ভাবনার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

ভুতুড়ে এক হাসপাতাল

স্বপ্না চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ০০:২৬, ৩ জুলাই ২০২৪

ভুতুড়ে এক হাসপাতাল

সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতাল

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতাল। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলী ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত দৃষ্টিনন্দন হাসপাতালটি এতদিনে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার অন্যতম ভরসাস্থল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উদ্বোধনের ২ বছর হতে চললেও এখানে চিকিৎসক তো দূরে থাক সাধারণ পদগুলোতেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুরুই হয়নি নিয়োগ কার্যক্রম।

প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসক না থাকা, ল্যাব-যন্ত্রপাতি থাকলেও টেকনিশিয়ান ও কর্মীর অভাব, উচ্চ চিকিৎসা ফি’সহ নানা কারণে একটা ভুতুড়ে হাসপাতালে রূপ নিয়েছে স্থাপনাটি। প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় সামান্য কিছু রোগী এবং চিকিৎসকের আনাগোনা থাকলেও অন্যান্য ফ্লোর প্রায় খালি থাকে। এসব ফ্লোরে উঠলে দিনের বেলায়ই গা ছমছম করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ নানা বিভাগ থেকে কয়েক দফা চেষ্টার পরও হাসপাতালটি পাচ্ছে না পূর্ণ রূপ। 
২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালটির অবকাঠামো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছরেরই ২৭ ডিসেম্বর থেকে এর ১৪টি বিভাগে রোগী দেখা শুরু করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা (অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক)। তবে এদের কেউই এই হাসপাতালে সরাসরি নিয়োগকৃত নন। বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকরাই শিডিউল ভিত্তিক সেবাদান শুরু করেন। যা এখন পর্যন্ত চলছে। 
সরেজমিনে হাসপাতালটির ৪র্থ তলায় গিয়ে দেখা যায়, নার্সের পোশাক পরা দুই-একজন ছাড়া আর জনমানব নেই। তবে  নিচতলায় ফার্মেসি, ক্যান্টিন, দুইতলায় বিশেষজ্ঞদের চেম্বারের সামনে কিছু রোগীর আনাগোনা রয়েছে। বিএসএমএমইউ-এর উত্তরপাশে ৩ দশমিক ৮ একর (প্রায় ১২ বিঘা) জমির ওপর গড়ে ওঠা এই হাসপাতালের মনোরম অবকাঠামো যে কোনো মানুষেরই নজর কাড়বে।

বিশাল এই অবকাঠামোতে দিনে অন্তত ৫ হাজার রোগীর সমাগম থাকার কথা থাকলেও প্রতিদিন রোগী হচ্ছে মাত্র দেড় থেকে দুইশ’ জন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থায়ী চিকিৎসক নেই একজনও। এখন পর্যন্ত নিয়োগ হয়েছে মাত্র দেড় থেকে দুইশ’ জন। তার মধ্যে চিকিৎসক নেই একজনও।

একই চিকিৎসক বিএসএমএমইউতে সকালে ৩০ টাকা এবং বৈকালিক চেম্বারে ২০০ টাকা ফি নিলেও সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালে তাকে দেখাতে গেলে দিতে হয় ১ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ না থাকায় চিকিৎসক এখানে রোগী দেখালেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর জন্য বিএসএমএমইউ-এর প্যাথলজি বিভাগেই পাঠানো হয়। 
রোগীদের যাতে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না হয় এবং দেশেই রোগীরা লিভার, কিডনি, হার্টের রোগ, ক্যান্সার, বন্ধ্যত্ব, জয়েন্ট নী রিপ্লেসমেন্টসহ সবধরনের জটিল রোগের সর্বাধুনিক উন্নত চিকিৎসাসেবা পায় সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই হাসপাতালে। স্টেম সেল থেরাপি, জিন থেরাপির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রোবটিক সার্জারিও শীঘ্রই চালু করা হবে। হাসপাতালটিতে রয়েছে বিশ্বমানের এনআইসিইউ, পিআইসিইউ, আইসিইউসহ সবধরনের আইসিইউ ব্যবস্থা।

এ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে রয়েছে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০০ শয্যার আইসিইউ, জরুরি বিভাগে আছে ১০০টি শয্যা, আছে ভিভিআইপি কেবিন ৬টি, ভিআইপি কেবিন ২২টি এবং ডিলাক্স শয্যা ২৫টি। সেন্টার ভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থাপন করা হয়েছে ৮টি করে শয্যা। হাসপাতালটিতে রয়েছে নিউম্যাটিক টিউব যার মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দেশিত বিভাগে চলে যায়। কিন্তু কোনো বিভাগেই নিজস্ব জনবল না থাকায় প্রায় সব সেবাই ব্যাহত হচ্ছে। তাই রোগী সেবার যে উদ্দেশ্য নিয়ে সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল তা ব্যর্থ হতে চলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতালটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, হাসপাতালটি পরিচালনা করতে ১৮০০-এর মতো জনবল প্রয়োজন। কিন্তু এখনো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় আশানুরূপ রোগীর সমাগম হয় না। তিনি বলেন, হাসপাতালটির ভিআইপি কেবিন তো দূরে থাক, সাধারণ কেবিনেও কোনো রোগী নেই। ওই কর্মকর্তা বলেন, বিএসএমএমইউতে একটা কেবিন পাওয়ার জন্য মানুষের হাহাকার লেগেই থাকে। প্রয়োজনে মন্ত্রী-এমপিরও সুপারিশ নিতে হয়। কিন্তু এখানে এতসব সুবিধা সত্ত্বেও রোগী আসছে না। এর একমাত্র কারণ জনবল সংকট। জনবল নিয়োগ না হলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না। 
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একপ্রকার ‘ব্যর্থ প্রকল্প’ হিসেবেই চিহ্নিত হতে যাচ্ছে প্রায় ১৫শ কোটি টাকার হাসপাতালটি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপ্রাণ চেষ্টা করছে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে, কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় জনবলই নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে দৈনিক ৭ হাজার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে গড়ে ওঠা হাসপাতালটিকে  ‘ভুতুড়ে হাসপাতাল’ বলেই অভিহিত করছেন সাধারণ মানুষজন। 

বিএসএমএমইউ-এর এক সাবেক উপাচার্য এবং এই হাসপাতাল তৈরির স্বপ্নদ্রষ্টাদের একজন জনকণ্ঠকে বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমরা এই প্রকল্পের কাজে হাত দিয়েছিলাম। প্রকল্পটি বাস্তবায়নও হলো। কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের স্বার্থের কারণে পুরোপুরি ব্যর্থ একটি প্রকল্পে রূপ নিয়েছে। আমরা এমনটি চাইনি। কোনো বড় প্রকল্পই একদিনে সফল হবে না এ কথা ঠিক আছে। কিন্তু দুই বছর পার হয়ে গেলেও ন্যূনতম সেবাটুকুও পাওয়া যাবে না?

যেখানে পাশেই দুইটি হাসপাতালে রোগীদের দীর্ঘ লাইন থাকে সেখানে এতবড় একটা অবকাঠামো নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হাসপাতালটিতে হাতেগোনা কয়েকজন রোগীও চিকিৎসা পাচ্ছেন না। শুনেছি সরকার থেকে এটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। যদি তাও হয় ভালো। যেভাবেই হোক সাধারণ মানুষ যেন চিকিৎসা পায়। 

জানা যায়, হাসপাতালটিতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অধ্যাপকের কনসালটেশন ফি ৬০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপকের ৪০০ ও সহকারী অধ্যাপকের ৩০০ টাকা। আর বৈকালিক কনসালটেশনের জন্য অধ্যাপক, সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকের ফি যথাক্রমে ১ হাজার, ৮০০ ও ৬০০ টাকা। শুধু তাই নয় হাসপাতালটিতে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা রিপোর্ট দেখাতে চাইলেও চিকিৎসকদের সমপরিমাণ ফিই দিতে হয়। এ অর্থ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পাবে ১০০ টাকা।  
কেন এই উচ্চ ফি জানতে চাইলে বিএসএমএমইউ-এর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, এই হাসপাতালের আয় দিয়েই কর্মী-স্টাফদের বেতন দিতে হয়। এটা তো আউটডোর না। ইনডোর চিকিৎসাসেবা। এখানে একটু আলাদা যতœ দিয়ে রোগী দেখা হবে। এটাই স্বাভাবিক। পার্শ্ববর্তী বিএসএমএমইউ-এর তুলনায় এখানে আসা রোগীর সংখ্যা এত কম কেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের মোট ১৮শ’ জন জনবল প্রয়োজন। নেওয়া হয়েছে ৪শ জনের মতো। আগামী সপ্তাহে জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত একটা বৈঠক হওয়ার কথা। তখন হয়তো একটা সিদ্ধান্তে আসা যাবে।
জানা যায়, ৭৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটির অর্থায়ন করেছে কোরিয়ান কোম্পানি। বিশাল এ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। তবে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে হাসপাতাল নির্মাণ, পরামর্শ ব্যয়, যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ অন্যান্য বাবদ ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা ঋণ দেয় দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল এক্সিম ব্যাংক। কোরিয়া থেকে যন্ত্রপাতি আনতে কাস্টমস ডিউটি ও ইনকাম ট্যাক্স বাবদ ৩৩৮ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। হাসপাতাল নির্মাণের জায়গা দিয়েছে বিএসএমএমইউ। এর মূল্য ধরা হয় ১৭০ কোটি টাকা। সেন্টার বেইজ্ড এই হাসপাতালটির সব যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কোম্পানি স্যামসাং। 
হাসাপাতালটি সম্পর্কে নেই তেমন কোনো প্রচার-প্রচারণাও। ফলে প্রতিদিন ৭ হাজার রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে এটি চালু করা হলেও প্রতিদিন দুই শিফটে ২শ’র বেশি রোগী হচ্ছে না জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালটির অন্য এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, এখানে ১৪টি বিভাগে সকাল-বিকাল দুই শিফটে ১৪ জন করে মোট ২৮ জন চিকিৎসক রোগী দেখছেন। তাদের সবাই বিএসএমএমইউ-এর চিকিৎসক। তারা রোস্টার অনুযায়ী রোগী দেখেন। 
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হাসপাতালটি চালু হলেও এখানে দেখাতে হলে বেসরকারি হাসপাতালের মতোই উচ্চ ফি দিতে হয় উল্লেখ করে রাজধানীর খিলগাঁও থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী প্রিয়াশা ইম্পল শর্মা বলেন, মনে করেছিলাম এটি সরকারি হাসপাতাল। তাই ফি কম হবে। কিন্তু কিসের কি? এখানে এসে দেখি একজন সহকারী অধ্যাপকের ফি সকালে ৩০০ আর বিকেলে ৬০০। একইভাবে সহযোগী অধ্যাপক সকালে নেন ৪০০ টাকা আর বিকেলে ৭০০ টাকা। আর অধ্যাপক দেখাতে গেলে দিতে হবে সকালে ৬০০ আর বিকেলে ১০০০ টাকা।

তাহলে ঝক্কি-ঝামেলা নিয়ে এখানে দেখাব কেন? কোনো বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েই দেখাব। একই রকম অভিজ্ঞতার কথা জানান গোড়ান থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আনিসুর রহমানও। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিসের রোগী আমি। বারডেমে নিয়মিত দেখাই। কিন্তু সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালের এত নাম শুনেছি যে মনে হলো এখানে আসলে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাবে। কিন্তু এত টাকা খরচ করে এই হাসপাতালে দেখানোর চাইতে কোনো বেসরকারি হাসপাতালে দেখাব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 
হাসপাতালটি ঘুরে দেখা যায়, চিকিৎসা কার্যক্রম না থাকলেও এখানে রয়েছে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড সেন্টার। যেখানে মা ও শিশু সম্পর্কিত সবধরনের রোগ এবং সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। একইভাবে হেপাটাইটিস, গ্যাস্ট্রোলজি সম্পর্কিত সব রোগেরই চিকিৎসা পাওয়া যাবে হেপাটোবিলিয়ারি এবং গেস্ট্রোএন্টারোলজি সেন্টারে। আর এক্সিডেন্টাল ইমার্জেন্সি সেবার ব্যবস্থা রয়েছে সবার জন্য। যে কোনো দুর্ঘটনাজনিত রোগীদের সেবা দেওয়ার কথা রয়েছে এখানে। রয়েছে প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত ১০০টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ-ও। 
ঠিক কবে নাগাদ এই হাসপাতালটি পূর্ণোদ্যমে চালু করা সম্ভব হবেÑ এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জনকণ্ঠকে বলেন, সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালের চিকিৎসা পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী পর্যবেক্ষণ করছেন। কয়েকদিন আগেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিএসএমএমইউসহ সব পক্ষ সভা করেছি। আগামী সপ্তাহে আরেকটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তখন হয়তো নিয়োগের বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে। 
এই ভুতুড়ে পরিস্থিতি থেকে হাসপাতালটি কবে মুক্তি পাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা বরাবরই বলে আসছি চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমাদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ জনবল সংকট। আর জনবল নিয়োগের জন্য প্রয়োজন অর্থ। সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালে জনবল নিয়োগের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা এখনো পাওয়া যায়নি। তাই নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হলে এই ভুতুড়ে অবস্থা থাকবে না।

×