ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১

সৈয়দপুরে রং মেশানো চিপসে হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

নিজস্ব সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী

প্রকাশিত: ২২:২১, ২ জুলাই ২০২৪

সৈয়দপুরে রং মেশানো চিপসে হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

কৃত্রিম রং মিশানো চিপসের সামগ্রী রোদে শুকানো হচ্ছে

সৈয়দপুরে কৃত্রিম রং মেশানো চিপস তৈরির ব্যবসা জমে উঠেছে। এতে জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়লেও দেখার কেউ নেই। 
এ শহরের আবাসিক এলাকার মধ্যে পরিবেশের কোনো অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠেছে ওইসব চিপস কারখানা। তারা অতি মুনাফার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নোংরা পরিবেশে ক্ষতিকারক কৃত্রিম রং ও আটা-ময়দার সঙ্গে অপরিশোধিত লবণ মিশিয়ে তৈরি করছে চিপস। আবার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলা মাঠে রোদে শুকিয়ে প্যাকেটে ভরে সরবরাহ করা হচ্ছে বাজারে। রঙ-বেরঙের ওইসব চিপস দেখে আগ্রহ বেড়ে যায় শিশুদের। এতে তারাই এখন এই চিপসের প্রধান ভোক্তা। আবার বড়রাও এই চিপসের ক্ষতিকারক দিক না ভেবে অনায়াসেই ভক্ষণ করছে। এতে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এ শহরের ২ থেকে ৩টি চিপস কারখানা বৈধ অনুমোদন থাকতে পারে। বাকি কারখানায় কখন কোথায় চিপস তৈরি করা হচ্ছে কেউ জানে না। 
শহরের বাইপাস সড়ক সংলগ্ন একটি চিপস কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, তারা বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই খোলা আকাশের নিচে নানা রঙের চিপস রোদে শুকাচ্ছে। এর চারদিকে ধুলা-বালি পড়ছে। শ্রমিকেরা পায়ে ঠেলে কাঁচা চিপসকে উল্টিয়ে রোদে শুকাচ্ছে। ব্যবহার হচ্ছে সেখানে দুর্গন্ধযুক্ত পানি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কারখানার এক কর্মচারী জানান, ৫-৬ বছর ধরে এভাবেই সেখানে চিপস তৈরি করা হচ্ছে। এতে কেউ বাধা দেয়নি। তবে এক বছর আগে প্রশাসন জরিমানা করেছিল। তবে মালিক বাধা দেয়নি। শহরের বাশবাড়ি টালি মসজিদ সংলগ্ন বাবু, উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ যাওয়ার পথে আরও কয়েকটি চিপস কারখানায় এভাবে ক্ষতিকারক রঙ মিশিয়ে চিপস উৎপাদন করছে।

এতে ভেজাল এ খাদ্য তৈরির ব্যবসায় তারা কোটি টাকার মালিক বনেছেন। চিপস উৎপাদকরা জানান, এ শহরের কয়েকজনের প্রয়োনীয় কাগজ থাকতে পারে। বাকি ১০টির মতো কারখানার কোনো কাগজ নেই। তারা পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ভেজাল এ খাদ্য উৎপাদন করছে।
এ নিয়ে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাজসমুল হুদা বলেন, ভেজাল ও ক্ষতিকারক রঙ মেশানো চিপস শিশুসহ সব বয়সীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে লিভার, কিডনি, পরিপাকে জটিল রোগ হতে পারে। পাশাপাশি বড়দের উচ্চ-রক্তচাপ, স্টোক ও আলসারের মতো রোগ হতে পারে। তাই ভেজাল ওই খাদ্য এড়িয়ে চলা উচিত।

×