ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১

সাগরে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে মাছ শিকার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২২:৪১, ১ জুলাই ২০২৪

সাগরে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে মাছ শিকার

নিষেধাজ্ঞাকালে কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগরে চলছে মাছ শিকার

সমুদ্রে মৎস্য আহরণের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে কাগজে-কলমে। কলাপাড়ার উপকূলীয় পায়রা বন্দরসহ কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর-অগভীর সমুদ্রে ফ্রি-স্টাইলে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার চলছে। এসব নির্বিঘেœ মহিপুর-আলীপুর আড়তে বিক্রি হচ্ছে। বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে যাচ্ছে বিভিন্ন মোকামে। এমনকি বরফ কলগুলোতেও চলছে বরফের উৎপাদন ও বিক্রি। মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ম্যানেজ করেই সমুদ্রে মাছ শিকার চলছে বলে এন্তার অভিযোগ উঠেছে। নির্দিষ্ট একটি সিন্ডিকেট এসব নিয়ন্ত্রণ করছে।
সমুদ্রে মাছের বংশবৃদ্ধিতে সরকারের হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগকে ঢেলে সাজানো হলেও কাজের কাজ হচ্ছে না। উল্টো নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ শিকারের সুযোগে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য চলছে। মা ইলিশের সুষ্ঠু প্রজননের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

কিন্তু একটি বিশেষ প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কারণে এই উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে।কলাপাড়া উপকূলের আন্ধারমানিক থেকে রামনাবাদ মোহনা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শত শত ট্রলার মাছ শিকার করছে। নির্দিষ্ট ওই সিন্ডিকেটের যোগসাজশে অবাধে অবরোধের শুরু থেকেই মাছ শিকার করে আসছে একশ্রেণির জেলে। এসব মাছ প্রকাশ্যে কেনা-বেচা, বাজারজাতকরণ, পরিবহন করছে। এতে করে স্থানীয় সচেতন মহল হতবাক হয়ে পড়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলে জানান, টাকা দিলে মাছ শিকারে কোনো বাধা নেই। যারা টাকা দেয়নি তারা সাগরেও যায়নি।

ওই সিন্ডিকেটের এ সংক্রান্ত একটি শক্ত মনিটরিং টিম রয়েছে। তারাই নির্ধারণ করছে কারা সাগরে মাছ শিকারে যেতে পারবে, আর কারা পারবে না। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, তাদের অভিযান চলমান রয়েছে। অবরোধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২০টি ট্রলার আটকে জরিমানা করা হয়েছে। বরফকল মালিকদেরও জরিমানা করা হয়েছে। তবে সিন্ডিকেট সম্পর্কিত কোনো তথ্য তার জানা নেই বলে জানান তিনি।

×