![দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর লিঙ্গ কর্তন, স্ত্রী আটক দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর লিঙ্গ কর্তন, স্ত্রী আটক](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/46-2407011305.jpg)
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
স্বামী জাহিদুল ঘরামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্ত্রী নাসরিন বেগম স্বামীর লিঙ্গ কর্তন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাসরিনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩০ জুন) গভীর রাতে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২১ সালে বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (কালাই) ঘরামীর ছেলে জাহিদুল ঘরামীর (২৮) সঙ্গে পটুয়াখালীর গেরাখালী গ্রামের মজিবর মাদবরের মেয়ে নাসরিন বেগমের (২০) বিয়ে হয়। তাদের একটি সাত মাসের পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে জাহিদুল এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সর্ম্পক গড়ে তুলেন। গত জানুয়ারি মাসে গোপনে ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেন। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। স্বামী জাহিদুল প্রথম স্ত্রীকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিতে চাপ দেয়। এতে রাজি হয়নি নাসরিন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে স্বামী জাহিদুল স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন।
রবিবার গভীর রাতে স্ত্রী নাসরিন বেগম ধারালো দা দিয়ে লিঙ্গ কর্তন করেন। এ সময় জাহিদুলের চিৎকারে স্বজনরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। পরে তারা রক্তাক্ত জাহিদুলকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি হলে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ রাতেই স্ত্রী নাসরিনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে।
জাহিদুলের বাবা আবুল কালাম আজাদ (কালাই) ঘরামী বলেন, ‘আমার ছেলের এই করুণ পরিণতির জন্য ছেলের বউ নাসরিন দায়ি। আমি এ ঘটনায় তার শাস্তি দাবি করছি।’
নাসরিন বেগমের অভিযোগ, আমার স্বামীরগত ৬ মাস পূর্বে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিতে আমাকে চাপ প্রয়োগ করছিল। আমি মেনে না নেওয়ায় আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাচন করছে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে নাসরিনকে রাতেই আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
এম হাসান