![ভাগ্যের চাকা খুলছে শাপলায় ভাগ্যের চাকা খুলছে শাপলায়](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/Sapla-2406301555.jpg)
.
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বর্ষা মৌসুমে আড়িয়ল বিলের শাপলায় খুলছে কর্মহীনদের ভাগ্যের চাকা। বিস্তীর্ণ আড়িয়ল বিলজুড়ে এখন অথৈই পানি। এই মৌসুমে আড়িয়ল বিল পাড়ের নি আয়ের বেশিরভাগ মানুষই কর্মহীন। শুষ্ক মৌসুমে ধান ও বিভিন্ন শাক-সবজির আবাদ হলেও বর্ষায় আড়িয়ল বিলে শাপলা, শামুক কুড়ানোর পাশাপাশি অধিকাংশ মানুষই মাছ শিকার করে সংসারের অর্থের জোগান দিয়ে থাকেন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আড়িয়ল বিলে শাপলা কুড়িয়ে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারছেন স্থানীয়রা।
প্রতিদিন ভোরে সূর্য ওঠার আগেই ছোট্ট ডিঙ্গি কোষা নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন আড়িয়ল বিলের গভীরে শাপলা সংগ্রহের জন্য। দিনের কয়েক ঘণ্টা শাপলা কুড়িয়ে নৌকা ভর্তি করে ফিরেন বাড়িতে। আড়িয়ল বিল এলাকার শ্রীনগর অংশের গাদিঘাট, আলমপুর, লস্করপুর, মদনখালী, শ্রীধরপুর এলাকার বিভিন্ন সড়কের পাশে স্থানীয়ভাবে এসব শাপলা বিকিকিনি হচ্ছে। এই অঞ্চল থেকে অন্তত ১০ পিকআপ শাপলা যাচ্ছে রাজধানীর কাওরানবাজার, শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন সবজির পাইকারির হাটবাজারে।
স্থানীয়রা বলেন, জীবন ও জীবিকার তাগিদে জীবনযুদ্ধে বিকল্প উপার্জন হিসেবে বর্ষা মৌসুমে শত শত বেকার যুবক-বৃদ্ধ আড়িয়ল বিলের শাপলা বিক্রির আয়ে সংসার চালাচ্ছেন। প্রকৃতির সৃষ্টি এসব শাপলাকে তারা আল্লাহ্’র নিয়ামত ি হিসেবে দেখছেন। শস্যভা-ার হিসেবে খ্যাত বিখ্যাত আড়িয়ল বিলে বর্ষায় কোনো ফসল উৎপাদন না হলেও বহু মানুষ শাপলা কুড়িয়ে জীবন নির্বাহ করছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গাদিঘাট সড়কের পাশে নৌকা থেকে হেঁসে-খেলে ও আনন্দ-উল্লাস করে শাপলা নামানো হচ্ছে। পরে শাপলার আটি গুনে-গুনে তোলা হচ্ছে পিকআপ ভ্যানে। এ সময় আমিনুল, আল-আমিন, জনি বলেন, ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত শাপলা কুড়ানোর কাজ করেন। এই মৌসুমে কোনো কৃষি কাজ নেই। তাই আড়িয়ল বিলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো শাপলা কুড়িয়ে তা পাইকারের কাছে বিক্রি করছেন। এতে একেকজনের ১০০০-১৫০০ টাকা রুজি হচ্ছে। মোয়াজ্জেম বলেন, বর্ষা সিজনে আড়িয়ল বিলে অন্তত ৫ শতাধিক মানুষ শাপলা বিক্রির আয়ে সংসার চালান। আলমপুর এলাকার আয়নাল হক বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে শাপলা সংগ্রহ করে ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি হাটবাজারে নেন। এখন আড়িয়ল বিলে শাপলার পরিমাণ কিছুটা কম। পানি বাড়লেই শাপলার পরিমাণও অনেকাংশে বাড়বে।