ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১

বেড়েছে বাদামের উৎপাদন খরচ

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া 

প্রকাশিত: ১৩:৫১, ৩০ জুন ২০২৪

বেড়েছে বাদামের উৎপাদন খরচ

জমি থেকে বাদাম তুলতে ব্যস্ত কৃষাণীরা।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চরাঞ্চলের চাষিরা বৈরী আবাহাওয়ার পরও পদ্মার অনাবাদি চরে চিনাবাদাম চাষে সাফল্য পেয়েছেন। পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে চাষ করা বাদাম ঘরে তুলে তা বিক্রয় করতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। অর্থকরী এ ফসল চাষ করে চরবাসীর আর্থিক স্বচ্ছলতা বেড়েছে।

চলতি রবি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুরের বিস্তীর্ণ চরে চাষ হয়েছে ৭৫০ হেক্টর জমিতে। এক সময় পদ্মা নদীতে জেগে উঠা বালুচর পড়ে থাকতো। যা চরবাসীর কোন কাজেই আসতো না। জেগে উঠা পদ্মার চরে প্রতি বছরই চাষীদের বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এ বছরও চরে বাদাম চাষ করে  সাফল্য পাচ্ছেন চাষিরা। 

ৎঅতিরিক্ত খরায় সেচ দিয়ে বাদাম চাষ করতে গিয়ে চাষীদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বিঘা প্রতি চাষীদের খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় বাদামের ফলন হচ্ছে ৭ মণ থেকে ৮ মণ। বিক্রয় হচ্ছে প্রতি মণ ৪ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দরে। 

দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ এলাকার বাদমচাষী আব্দুল জাব্বার জানান, এ বছর চরে বাদাম চাষে খরচ বেড়েছে। অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ দিয়ে বাদাম চাষ করতে হয়েছে। তারপরও বিঘাপ্রতি ৭/৮ মণ হারে বাদম হচ্ছে। খরচ বাদ দিয়ে লাভ হচ্ছে উৎপাদন খরচের প্রায় দ্বিগুণ।

কৃষি বিভাগ থেকে বাদামের নতুন জাত সরবরাহ সহ প্রণোদনা ও কারিগরি পরামর্শ প্রদান এবং সবধরণের সহায়তা দেওয়ার ফলে বৈরী আবহাওয়ার পরও বাদাম চাষে চাষীরা সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম। 

এসআর

×