ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১

আমদানি-রপ্তানি খরচ কমবে

চট্টগ্রাম বে-টার্মিনালে ৭৬০৫ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০৮, ৩০ জুন ২০২৪

চট্টগ্রাম বে-টার্মিনালে ৭৬০৫ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

চট্টগ্রাম বে-টার্মিনালে ৭৬০৫ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প ও সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে সম্পৃক্ত হচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে বিনিয়োগে সহায়তা করতে ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে সংস্থাটি। এই বে-টার্মিনাল  নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের  সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি খরচ কমে আসবে।
সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরসে এ সহায়তার অনুমোদন দেওয়া হয়। শনিবার সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ব ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামুদ্রিক এই অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প স্রোত এবং আবহাওয়ার চরম প্রতিকূলতা থেকে পোতাশ্রয়কে রক্ষা করবে। এই লক্ষ্যে ৬ কিলোমিটার জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করা হবে। এর অংশ হিসেবে বন্দর বেসিন, প্রবেশদ্বার এবং অ্যাক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং করা হবে। নতুন আধুনিক এই বে-টার্মিনাল শীর্ষ আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হবে বলেও জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, এর মাধ্যমে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজ ঘোরানো আগের থেকে অনেক সহজ হবে। এতে প্রতিদিন আনুমানিক এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে, যা উল্লেখযোগ্য সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়। বে-টার্মিনাল একটি গেম চেঞ্জার হবে। এটি বর্ধিত বন্দর সক্ষমতা এবং পরিবহন খরচ ও সময় কমিয়ে আনার  মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার উন্নতি ঘটাবে। এর ফলে মূল বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে। প্রকল্পটি কন্টেনার টার্মিনাল উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগ একত্রিত করবে।

সরকারি অর্থায়নের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ আস্থা বাড়াবে বিনিয়োগকারীদের। এটা সামগ্রিক বে-টার্মিনাল উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকি কমাতে অবদান রাখবে। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট হুয়া টান বলেন, বে-টার্মিনাল দেশের সমুদ্রবন্দর অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে এর সংযোগ উন্নত করতে অবদান রাখবে।

×