ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১

তিস্তার তীব্র ভাঙনে বিলীন একের পর এক জনপদ

স্টাফ রিপার্টার, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ২৯ জুন ২০২৪

তিস্তার তীব্র ভাঙনে বিলীন একের পর এক জনপদ

উলিপুরে তিস্তা ভাঙনে বিলীন হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়

উলিপুরে তিস্তা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। গত ২ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ মিটার বাঁধের রাস্তা, শতাধিক বিঘা আবাদী জমি এবং অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যাবে একটি স্লূইস গেট ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙনের মুখে রয়েছে মসজিদ, দুই শতাধিক বাড়িঘর ও আবাদি জমি। ভাঙনকবলিত মানুষজন বসতবাড়ি রক্ষায় স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থার দাবি জানান।
সরজমিন দেখা যায়, বজরা ইউনিয়নের সাদুয়া দামারহাট ও খামার দামার হাট গ্রামের ভাঙনকবলিতদের নিজস্ব জমি-জমা না থাকায় বাড়িঘর স্থানান্তর করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহের আগে থেকেই এই এলাকায় ভাঙন শুরু হলে বজরা ১নং খামার দামার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্লুইস গেট হুমকির মুখে পড়ে। 
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ না নিলে যেকোনো মুহূর্তে স্কুল ও স্লুইস গেটটি বিলীন হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ৫০/৬০টি বসতবাড়ি ৫০ মিটার বাঁধের রাস্তা, সবজি খেত, পাট খেতে, গাছপালা-পুকুরসহ শত বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নদী তীরবর্তী খামার দামার হাট গ্রামের আবুল হোসেন (৫৬) জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ না নেওয়ায় ঠিকানা হারিয়েছে অর্ধ শতাধিক পরিবার। আরও ২/৩ শতাধিক বসতবাড়ি ও একটি মসজিদ রয়েছে ভাঙনের হুমকিতে। এ ছাড়া পেছনে আরও শত শত পরিবার রয়েছে ভাঙন আতঙ্কে।
বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার (৭০) জানান, আমি ১৫০ একর জমির মালিক। নদী ভাঙনের শিকার হয়েছি ১২ বার। নদীর বুকেই আমার সমস্ত জমিজমা পড়ে আছে। অথচ আমাদের ঠাঁই নেয়ার মতো জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে অন্যের জমি ৮ বছরের জন্য বন্ধক নিয়ে বাড়িঘর করে পরিবার পরিজন নিয়ে আছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, সম্প্রতি ভাঙনকবলিত এলাকা আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছেন। অনুমতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

×