ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১

জনকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশ

জেলেদের আত্মসাৎ চাল ফেরত দিলেন চেয়ারম্যান-মেম্বার 

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ২৮ জুন ২০২৪

জেলেদের আত্মসাৎ চাল ফেরত দিলেন চেয়ারম্যান-মেম্বার 

চাল।

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে মার্চ-এপ্রিল,মে-জুন এই ৪ মাস নদীতে জেলেদের জাটকা ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা থাকায় তালিকাভুক্ত জেলেদের ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয় সরকার।

২৩ ও ২৪ জুন ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি সদস্য আবুল কালাম জেলেদের ভিজিএফ চাল বিতরণ করেন। নিবন্ধনকৃত দরিদ্র জেলেদের জন্য প্রতি মাসে ৪০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে ৪ মাসের জন্য নিয়ামতি ইউনিয়নের ১৫০ জন জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও দুই ধাপে দুই মাসের চাল একত্রে জনপ্রতি ৮০ কেজি না দিয়ে তাদেরকে দেয়া হয়েছে ৫০ কেজি করে। 

ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতে প্রকাশ্যে অন্তত জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়। বাকি চাল নিয়ামতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও মেম্বর কালাম তালুকদার আত্নসাত করেছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় জেলেরা।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদে ২৪ জুন ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় ২৬৬ জন দুস্থ নারীকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে অসৎ উদ্দেশ্যে তাদেরকে জন প্রতি দেয়া হয়েছে ২৭/২৮ কেজি চাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা বাকেরগঞ্জ থেকে ২৫ জুন (সোমবার) দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় 'জেলে ও দুস্থদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ' শিরোনামে জনকণ্ঠ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। সংবাদটি প্রকাশের পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের নজরে আসলে তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দিন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খান শামীম পারভেজকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তারা ২৬ ও ২৭ জুন সরেজমিনে তদন্ত করেন 

এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা মৎস্য অফিসার নাসির উদ্দিন বলেন, জনকণ্ঠ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনওর নির্দেশে, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে। নিয়ামতি ইউনিয়নের রুপারজো গ্রামের কিছু জেলেদের সঙ্গে আজ তদন্তে গেলে কথা হয় তখন জেলেরা বলেন, ২৩ ও ২৪ জুন রুপারজো জেলে পাড়ার প্রায় ২৪ জন জেলেদের পরিষদ থেকে দুই মাসের জন্য প্রত্যেক জেলেকে ৮০ কেজি চাল না দিয়ে তাদের ৫০ কেজি দেয়া হয়েছিল। সংবাদ প্রকাশের পরে আজ ২৭ জুন সকালে চেয়ারম্যান ও মেম্বার ওইসব জেলেদের বাকি ৩০ কেজি চাল ফেরত দিয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, ২৩ ও ২৪ জুন ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতে চাল দেয়া হয়েছে। সে বিষয়টি তদন্ত চলছে। এবং জেলেদের চাল দেয়ার জন্য তাদের থেকে নগদ ১ শত টাকা নিয়েছে চেয়ারম্যান মেম্বার সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, নিয়ামতি ইউনিয়নে জেলেদের চাল আত্মসাৎ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের পরেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এসআর

×