ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১

কারাগার থেকে যেভাবে পালাল ফাঁসির আসামিরা

প্রকাশিত: ১৭:৫৬, ২৬ জুন ২০২৪

কারাগার থেকে যেভাবে পালাল ফাঁসির আসামিরা

দেওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যায়। 

পরিধেয় বস্ত্র ও বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি। পরে অভিযান চালিয়ে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিনগত রাত ৩টার দিকে ছাদ কেটে রশির মাধ্যমে দেওয়াল টপকিয়ে কারাগার থেকে পালিয়ে যান চার কয়েদি।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এসব কয়েদিরা হলেন- কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম মজনু, নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন, বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া ও বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ।

ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে চার কয়েদি ছাদ কেটে বের হন। এরপর তারা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেওয়াল টপকিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম শহরে তল্লাশি করে। ভোর ৪টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজার থেকে চারজনকেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হলে কারা কর্তৃপক্ষ চারজনকে শনাক্ত করে।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একসঙ্গে একটি কক্ষে অবস্থান করতেন। তারা পরিকল্পিতভাবে প্রথমে ছাদ কাটেন। পরে পরিধেয় বস্ত্র ও বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেওয়াল টপকিয়ে পার হন। এরপর করতোয়া নদী পার হয়ে পালিয়ে যান।’

বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তদন্তে এডিএমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বগুড়া কারাগার, পুলিশ, র‌্যাব, গণপূর্ত ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি।

 

এম হাসান

×