আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান ভুঁইয়ার দাফন নিজ গ্রাম নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাদ আছর নিজ গ্রাম উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সাধুর বাজার খেলার মাঠে জানাজার পর ইছাখালী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, জল্লাদ শাহজাহানের পুরো নাম শাহজাহান ভুঁইয়া। তিনি পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে। ৭৪ বছর বয়সী শাহজাহান কারাভোগ শেষে মুক্তি পাওয়ার পর এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস সংসার কর পর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
নিহতের স্বজনরা জানান, সাভারের হেমায়েতপুরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন জল্লাদ শাহজাহান।
সেখানে সোমবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তার বুকে ব্যথা শুরু হয়। পরে বাড়ির মালিক তাকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীহাসপাতালে নিয়ে এলে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জল্লাদ শাহজাহানের বোন ফিরোজা জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের কারণে সোমবার মরদেহ গ্রামে আনা সম্ভব হয়নি।আজ ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর আড়াইটায় মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসি।
কারাগারের তথ্যানুযায়ী, জল্লাদ শাহজাহান ২০০১ সাল থেকে মুক্তির আগ পর্যন্ত ২৬ জনের ফাঁসির দড়ি টেনেছেন। যার মধ্যেবঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন ছয়জন। এছাড়া চারজন যুদ্ধাপরাধী, দুজন জেএমবি সদস্য ও অন্যান্যআলোচিত মামলার ১৪ জন।
শাহজাহান ভুঁইয়া ১৯৯১ সালে গ্রেপ্তার হন। তিনি দীর্ঘ ৩২ বছর ছয়মাস দুইদিন কারাভোগের পর গত বছরের ১৮ জুনবেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এসআর